বৃষ্টি বাধায় ১৬ ওভারে নেমে আসা ফাইনালে রোববার ৬ উইকেটে জেতে নটিংহ্যামশায়ার। সারের ১২৭ রান ১৬ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলা দলটি।
এজবাস্টনে এদিন ম্যাচ হয় তিনটি। আগে হয় দুটি সেমি-ফাইনাল; বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচই ১১ ওভারে নেমে আসে। যেখানে গ্লস্টারশায়ারকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সারে ও ল্যাঙ্কাশায়ারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নটিংহ্যামশায়ার ফাইনালে ওঠে।
সেমি-ফাইনালেও দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ান।
আর ফাইনালে তিন ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। পরে ১১ বলে তিন চারে ২১ রান করে ফিরেন দলকে জিতিয়ে।
রান তাড়ায় নটিংহ্যামশায়ারের শুরুটা ভালো হয়নি। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান অ্যালেক্স হেলস। ২০ ছোঁয়ার আগে তারা হারিয়ে ফেলে আরও দুই উইকেট।
খাদের কিনারে থাকা দলকে টেনে তোলেন বেন ডাকেট ও পিটার ট্রেগো। দুই জনে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ২১ বলে ৩১ রান করেন ট্রেগো। ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন ডাকেট। ৮ চারে ৫৩ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সারের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানো দলটিকে পথে ফেরান ওপেনার জেসন রয় ও চারে নামা লরি ইভান্স।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রান করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। এই দুইজনের ব্যাটে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা সারের রানের চাকা থামান ক্রিস্টিয়ান। ২৩ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ইভান্সকে ফেরান এই অলরাউন্ডার।
৩৬ বলে ফিফটি করা রয়ও এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তার ৪৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ছিল সাত চার ও একটি ছক্কা। এ দুই জন ছাড়া টুর্নামেন্টে চারবার ফাইনালে খেলা সারের আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সারে: ১৬ ওভারে ১২৭/৭ (রয় ৬৬, আমলা ৩, জ্যাকস ৩, ইভান্স ৪৩, ওভারটন ০, বার্নস ৫*, ফোকস ১, প্লাঙ্কেট ৪; প্যাটেল ৪-০-২৫-১, বল ৩-০-১৭-২, ইমাদ ৩-০-২৮-০, কার্টার ২-০-১৯-০, মালানি ১-০-১৩-০, ক্রিস্টিয়ান ৩-০-২৩-৪)
নটিংহ্যামশায়ার: ১৩.২ ওভারে ১২৯/৪ (হেলস ০, ডাকেট ৫৩*, ক্লার্ক ৩, প্যাটেল ৭, ট্রেগো ৩১, ক্রিস্টিয়ান ২১*; টপলে ৩-০-২৫-১, জ্যাকস ৩-০-৩২-২, মরিয়ারটি ৩-০-২০-১, প্লাঙ্কেট ১-০-১৩-০, ওভারটন ১-০-১৬-০, ব্যাটি ২.২-০-২১-০)
ফল: নটিংহ্যামশায়ার ৬ উইকেটে জয়ী