বোলিং কোচ ও ফিল্ডিং কোচের নামে ওটিস গিবসন একাদশ ও রায়ান কুক একাদশের লড়াই দিয়ে ৬ মাস পর ম্যাচের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্র ও শনিবার হয়ে গেল ম্যাচটি।
ম্যাচের প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দেন তাসকিন আহমেদ। তার সমান তিনটি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। শুরুতে জড়তা থাকলেও পরে বেশ ভালো বোলিং করেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ব্যাট হাতে ফিফটি করেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার।
দ্বিতীয় দিনে নতুন বলে দারুণ স্পেল করেন পেসার ইবাদত হোসেন। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বোলিংও ছিল নজরকাড়া। ব্যাট হাতে এ দিন ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুমিনুল। তার সঙ্গে ১৫৭ রানের জুটি গড়া মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান।
দীর্ঘমেয়াদী কোনো টেস্ট অধিনায়ক বিসিবি ঘোষণা না করলেও সবশেষ টেস্টের অধিনায়ক মুমিনুলকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে। ম্যাচ শেষে তিনি জানালেন তার ভাবনা, আলাদা করে বললেন পেসারদের কথা।
“খেলা শুরু হওয়ার আগে একটু টেনশনে ছিলাম। মানুষ হিসেবে টেনশন থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ গত ৬-৭ মাস ধরে আমরা খেলিনি, শুধু অনুশীলন করেছি। প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম। এই দুই দিন আমাদের অনেক ভালো অনুশীলন হয়েছে।”
“বিশেষ করে আমি বলব পেসারদের কথা। দুই দিনের ম্যাচটি খুবই উপভোগ করেছি। পেসাররা খুব ভালো বোলিং করেছে।”
শ্রীলঙ্কা সফর পিছিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আবার টেস্ট খেলবে কবে, জানা নেই কারও। জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সূচিতে থাকা সিরিজ নিশ্চিত নয় কোভিড পরিস্থিতিতে। তারপরও টেস্ট ম্যাচের আবহে পারফর্ম করার চেষ্টা করেছেন সবাই, বললেন মুমিনুল।
“যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ শুরু করব, আমাদের একদম নতুন করে শুরু করতে হবে। ৬-৭ মাস পরে, কখন আবার টেস্ট ম্যাচ হয় জানি না। চেষ্টা করছিলাম টেস্ট ম্যাচে যেরকম আবহ থাকে, যেরকম পরিস্থিতি থাকে, সেভাবে করার চেষ্টা করেছিলাম।”
“চাওয়া ছিল, ব্যাটসম্যান যারা ব্যাটিং করছিলাম, রানের জন্য না খেলে আমরা যেন সারাটা দিন ব্যাটিং করতে পারি। কন্ডিশন-আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারগুলো, অনেকদিন খেলার ভেতরে ছিলাম না কেউ। আমরা সেভাবেই ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি।”