লকডাউনের সময়টায় ফিটনেস নিয়ে অনেক খেটেছেন তাসকিন। পরে অনুশীলন শুরুর পর ঘাম ঝরিয়েছেন বোলিংয়ে। সেটির প্রতিফলন পড়তে শুরু করেছে বোলিংয়ে। গত কিছুদিন নেটে তিনি নিয়মিতই ভুগিয়েছেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহদের। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেও তার বোলিং ছিল অসাধারণ।
কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপে বিরতির সময়ও যেভাবে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, বিরতির পর তাদের যে অবস্থায় দেখেছেন ডমিঙ্গো, তাতে দারুণ খুশি বাংলাদেশ কোচ। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার এই প্রসঙ্গেই বললেন তাসকিনের কথা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভালো একটি ফাস্ট বোলিং গ্রুপ তৈরি করার কথা জোর দিয়ে বলে আসছেন ডমিঙ্গো। তার মতে, এই প্রক্রিয়া ঠিক পথেই আছে। সেখানে আবারও তুলে ধরলেন তাসকিনের উদাহরণ।
“একটা ফাস্ট বোলিং গ্রুপ গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার ইবাদত আছে, রাহি, তাসকিন, মুস্তাফিজ, খালেদ ও আল আমিন আছে এখন। ৬-৭ জন ফাস্ট বোলারের একটি গ্রুপ গড়ে উঠছে যারা খেলতে পারে সব সংস্করণেই। আশা করি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও ওরা ভালো করবে আগামী কয়েক বছর।”
“তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। দারুণ ফিট হয়ে ফিরেছে সে। মুস্তাফিজ নতুন বলে ভালো শেইপ পাচ্ছে। উন্নতির ভালো ছাপ রাখতে পেরেছে সে। খালেদও চোটের পর ফিরে ভালো করছে। তরুণ হাসান মাহমুদও দারুণ করছে, খুব ভালো ভবিষ্যৎ ওর সামনে। দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হলে, ভালো ফাস্ট বোলার লাগবেই। আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে আমরা পথেই আছি।”