নিজের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিংয়ে বিস্মিত নন পুরান

শচিন টেন্ডুলকার বলছেন, তার জীবনে দেখা সেরা ফিল্ডিং সেভ। যাকে অনেকে মনে করেন ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফিল্ডার, সেই জন্টি রোডসের মতে এটি সর্বকালের সেরা সেভ। অথচ দুর্দান্ত সেই ফিল্ডিং সেভের নায়ক নিকোলাস পুরান বলছেন, নিজের ফিল্ডিংয়ে খুব একটা অবাক নন তিনি!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 03:55 AM
Updated : 29 Sept 2020, 03:55 AM

আইপিএলে রোববার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে অবিশ্বাস্য সেই ফিল্ডিংয়ের নজির দেখান পুরান। সেই ফিল্ডিং কীর্তির পর তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টেন্ডুলকার, রোডস, কেভিন পিটারসেন, মাইকেল স্ল্যাটার, বিরেন্দর শেবাগসহ আরও অনেক বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটার অবিশ্বাসমাখা প্রতিক্রিয়ায় পঞ্চমুখ হয়েছেন পুরানের প্রশংসায়।

তবে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় পুরান বললেন, তার কাছে এমন ফিল্ডিং কোনো বিস্ময়কর কিছু নয়।

“ আমাদের ট্রেনিং সেশনে এরকম ক্যাচ নেওয়ার অনুশীলন আমরা প্রতিদিনই করছি। এই ধরনের ক্যাচ আমি ট্রেনিং সেশনে নিয়েই থাকি। আমার জন্য এটা কোনো চমক নয়।”

ছবি: টুইটার

পাঞ্জাবের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন জন্টি রোডস। পুরানের ফিল্ডিংয়ের প্রসঙ্গে অনেকের কণ্ঠেই উঠে এসেছে রোডসের অবদোনের কথা। সর্বকালের সেরা ফিল্ডারদের একজন বলে বিবেচিত সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করে উন্নতির কথা জানালেন পুরান নিজেও।

“ আমি তো এমনিতে উইকেট কিপার, তাই লাফানো ও ঝাঁপানো আমার কাছে সহজাত ব্যাপার। তবে রোডসের কাছ থেকে আমি শিখেছি ম্যাচ সচেতনতা। গত দুই সপ্তাহে এখানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে আমার।”

“ আমি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি। এর বিকল্প কিছু নেই। আশা করি টুর্নামেন্ট যত এগোবে, দলের জন্য আরও রান বাঁচাতে পারব।”

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের রান তাড়ার অষ্টম ওভারের ঘটনা ছিল পুরানের সেই ফিল্ডিং। লেগ স্পিনার মুরুগান অশ্বিনের বলে পুল করেছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। বল ভেসে যাচ্ছিল সীমানা ছাড়িয়ে।

পিছু ছুটতে থাকা পুরান সীমানার ভেতর থেকে ফুল লেংথ ডাইভ দেন সীমানার বাইরে। হাওয়ায় ভেসে থাকা অবস্থায় মুঠোয় জমান বল। কিন্তু তার পুরো শরীর পড়ে যাচ্ছিল সীমানার ওপারে। ছক্কা হবে বুঝতে পেরে শেষ মুহূর্তে বল মাঠের ভেতরে ছুঁড়ে দেন পুরান। বারবার রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত হন, ছক্কা হয়নি। কেবল দৌড়ে এসেছে দুই রান। এই সবকিছু হয়ে যায় স্রেফ চোখের পলকেই।