করোনাভাইরাস বিরতির পর দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির তত্ত্বাবধানে চলছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। কিন্তু সাইফ কদিন হলো ফিরেছেন ঢাকায়। প্রথমবারের মতো দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন বুধবার। বোলিং করেছেন সেন্টার উইকেটে।
লম্বা সময় পর আবারও মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরতে পেরে বেশ আনন্দিত ২৩ বছর বয়সী সাইফ। তবে এই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তার মধ্যে কাজ করছে নিজেকে স্বরূপে ফিরে পাওয়ার ভাবনা। অনুশীলন শেষে বুধবার শোনালেন আশাবাদ, কিছু দিনের মধ্যেই পারবেন নিজেকে খুঁজে নিতে।
“করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি, কিন্তু স্কিলের দিকে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি।”
“ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি পাকার মধ্যে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি আমি। তারপরেও আশাবাদী আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারব।”
সাইফের সবচেয়ে বড় ভয় তার পিঠের চোট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই চোটে ৫ মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। দীর্ঘদিন ধরে পুনর্বাসনের পর অবশেষে খেলার মতো অবস্থায় ফেরেন গত মার্চে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
যখন চোটের সঙ্গে লড়াই শেষে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে মনোযোগ দিবেন তখনই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি। সব কিছু মিলিয়ে প্রায় এক বছর মুছে গেছে তার ক্যারিয়ার থেকে। স্বাভাবিকভাবে কিছুটা মরচে তো পড়েছেই ফিটনেসে। শ্রীলঙ্কা সফরের স্কিল ক্যাম্পে ডাক পাওয়া এই ক্রিকেটারের লক্ষ্য, নিজের ঘাটতি যতদ্রুত সম্ভব কাটিয়ে ওঠা।
“সবসময় আমার একটা চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাক পেইন। আমি প্রায় ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম, এরপর ফিট হয়ে ফিরে এসে দুই একটা ম্যাচ খেলার পর করোনার কারণে ৬ মাস পিছিয়ে গেলাম। প্রায় এক বছরের মতো আমি মাঠের বাইরে।”
“ফিটনেস নিয়ে কাজ বা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। যেহেতু সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারব ততই আমার জন্য ভালো। আমার লক্ষ্যই থাকবে এটা। যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবো, আমার ও দলের জন্যই তত ভালো।”