উন্নতির শেষ নেই, বুঝে গেছেন তাসকিন

তামিম ইকবালের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বল, কখনও বাতাস লাগিয়ে যাচ্ছে লিটন দাসের হেলমেটে। গত কিছুদিনে অনুশীলনের নিয়মিত চিত্র এসব, নেটে প্রায় সব ব্যাটসম্যানকেই বেশ ভোগাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। আগুন ঝরা বোলিং করে চলেছেন অনুশীলনে। তবে স্রেফ নেটের গতি আর ছন্দেই আনন্দে ডুবে যাচ্ছেন না এই ফাস্ট বোলার। বরং অনুভব করছেন উন্নতির পথ ধরে ছুটে চলার তাড়না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2020, 12:18 PM
Updated : 22 Sept 2020, 01:03 PM

করোনাভাইরাসের প্রভাবে যখন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে লম্বা সময়, সেই লকডাউনে তাসকিনকে সক্রিয় দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফিটনেস নিয়ে জিমে কাজ করার ছবি-ভিডিও পোস্ট করেছেন নিয়মিত। মাঠে তাকে দেখেও সেসবের ফল টের পাওয়া যাচ্ছে। ওজন কমেছে বেশ, বেড়েছে পেশির আকার।

ওজন কমা ও বাড়ন্ত পেশিই অবশ্য ফিটনেসের মূল প্রতিফলন নয়। তবে মাঠেও তাকে মনে হচ্ছে দারুণ ফুরফুরে ও চনমনে। বোলিংয়ে খুবই আগ্রাসী। বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যাচ্ছে বেশ।

ওয়ার্ক এথিক ঠিক নেই বলে একসময় তাসকিনের সমালোচনা ছিল প্রচুর। এখনও সেসবের রেশ তার ভাবমূর্তির সঙ্গে লেপ্টে আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার নানা প্রচেষ্টায় দেখা যাচ্ছে ওসব ঝেড়ে ফেলার ইচ্ছে।

সামনেও এই ধারা ধরে রাখতে চান তাসকিন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারের কণ্ঠে এগিয়ে চলার প্রত্যয়।

“ফিটনেসে আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তবে উন্নতির তো শেষ নেই। বিশ্বমানের হতে হলে, আরও ধারাবাহিক হতে হলে কঠোর পরিশ্রম সবসময় করে যেতে হবে। আসলে এখনই শেষ নয়। সামনে আরও ভালো কিছু হবে, আশা করছি। আমি আমার চেষ্টা, ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব যেন আরও উন্নতি হয় ও ভালো করতে পারি।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিন সবশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালের মার্চে, শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টিতে। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ওই সফরেই খেলেছেন সবশেষ টেস্ট।

গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে অবশ্য জায়গা পেয়েছিলেন। তবে একাদশে সুযোগ মেলেনি। সামনের বাস্তবতাও ভালোই জানেন তাসকিন। তাই ফিটনেসের পাশাপাশি স্কিলে আরও শাণিত ও সমৃদ্ধ করে তুলতে চান নিজেকে।

“আগের থেকে ভালো ছন্দ এসেছে। ভালোও লাগছে। পেস, সিম পজিশন, এসব নিয়ে কাজ করছি কোচদের সঙ্গে। আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন, আগের চেয়ে আরও উন্নতি হবে। নিশানা, গতি, সিম পজিশন, এসব আরও ভালো হবে।”