মুস্তাফিজের এই স্কিল আয়ত্ত করা নিয়ে আলোচনা চলছে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর কিছুদিন পর থেকেই। অভিষেক বছরে টুকটাক এই ঝলক কিছুটা দেখাতে পেরেছিলেন। তবে পরে কাঁধের চোটে পড়ে পিছিয়ে গেছেন অনেকটা। সময়ের সঙ্গে চোটসহ নানা কারণে তার গতি কমেছে, কাটারের ধার কমেছে, বোলিংয়ের কার্যকারিতাও নেই প্রত্যাশিত পর্যায়ে। তাতে এই প্রশ্ন উচ্চকিত হয়েছে আরও, তিনি বল ভেতরে আনা শিখবেন কবে?
গত মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, “মুস্তাফিজ এখনও টেস্টের জন্য প্রস্তুত নয়, যতদিন না সে টেকনিক্যালি কিছু কাজ করছে, যাতে সে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে আনতে পারে।”
হিথ স্ট্রিক থেকে শুরু করে কোর্টনি ওয়ালশ, শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট হয়ে এখন ওটিস গিবসন, জাতীয় দলের বোলিং কোচদের সঙ্গে এটি নিয়ে কাজ করেছেন মুস্তাফিজ। ফল পাওয়ার প্রমাণ এখনও নেই তার বোলিংয়ে। তবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার অনুশীলন শেষে মুস্তাফিজ বললেন, ফল আসবে দ্রুতই।
করানাভাইরাসের কারণে পাওয়া লম্বা বিরতির সময়টুকুর বেশির ভাগ সাতক্ষীরাতে কাটিয়েছেন মুস্তাফিজ। ঢাকায় ফিরে অনুশীলন শুরু করেছেন পাঁচ সপ্তাহ আগে। ১১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা পেসার জানালেন, ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে তার প্রস্তুতি।
“ঢাকায় ফেরার পর শুরুতে শর্ট রান আপে বোলিং শুরু করেছিলাম। দুই-তিন পদক্ষেপে। বাড়িতেও করেছিলাম, ঢাকায় আসার পর সেখান থেকেই শুরু করলাম। পাশাপাশি রানিং-জিম চলছিল। পরে ব্যাটসম্যানকে বোলিং শুরু হলো। এখন সব মিলিয়ে সবকিছু ভালোই যাচ্ছে।”
মিরপুরে অনুশীলন শুরুর পর থেকে লাল বলে বোলিং করতে দেখা গেছে মুস্তাফিজকে। যদিও করোনাভাইরাসের বিরতির আগে টেস্টের পরিকল্পনায় তাকে সেভাবে রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা। এবার বিসিবির লাল বলের চুক্তিতে তার জায়গা হয়নি। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরের মার্চে নিউ জিল্যান্ডে।
তবে ১৩ টেস্টে ২৮ উইকেট নেওয়া এই পেসার আশা ছাড়ছেন না বলেই কাজ করে চলেছেন লাল বল নিয়ে। নিজেকে প্রস্তুত করতে চান সব সংস্করণের জন্য।
“আমি তো চাই সব ফরম্যাটে খেলতে। এখন ফিটনেস বলেন, বোলিং স্কিল বলেন, কোন কাজগুলো করলে সব ফরম্যাটে নিয়মিত হতে পারব, সব আমি চেষ্টা করছি।”