পরিবর্তনের খানিকটা মাহমুদউল্লাহকে খালি চোখে দেখেও বোঝা যায়। এমনিতেই তিনি বেশ লিকলিকে। ওজন আরও কমিয়ে এখন কৃশকায় হয়ে গেছেন। মিরপুর-শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার অনুশীলন শেষে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জানালেন, কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন মাঠের বাইরে থাকার সময়টুকু।
“লকডাউনের সময়টাতে একটা জিনিসই বেশ উপকার হয়েছে আমার। চেষ্টা করেছি ফিটনেসটা যেন আরও ভালো করা যায়। ট্রেডমিল ব্যবহার করেছি বেশ অনেক। ফিজিও ও ট্রেনারের গাইডলাইন ছিল, সপ্তাহে বা ৩-৪ দিন পর পর কথা হতো, কী কী কাজ করা যায়। জিমের প্রোগ্রামগুলো দেওয়া হয়েছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ওগুলো করে বেশ ভালো ফল পেয়েছি।”
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ক্রিকেটারদের কয়েকজনের অনুরোধে বিসিবি মাঠে ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয় গত ১৯ জুলাই থেকে। মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেন ৫ অগাস্ট থেকে। তারপর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় মাস। শুরুতে ফিটনেসেই জোর দিয়েছিলেন বেশি, এখন তার মনোযোগ স্কিল ট্রেনিংয়ে।
“এখন স্কিলের কাজগুলো করছি। কারণ দিনশেষে স্কিলটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস ও স্কিল দুটো মিলিয়েই ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে যখন অনুশীলন শুরু করেছি, অনেকগুলো কাজ করার ছিল। ব্যাটিং কোচের সাথে কথা হয়েছিল, সে নির্দেশনা অনুসারে কী কী কাজ করা দরকার ছিল, বোলিং মেশিনে সেসব করেছি।”
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। তার আগে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও লাল বলের তালিকায় জায়গা হয়নি তার। ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের টেস্ট ভবিষ্যৎ তাতে পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। এবার স্কিল ক্যাম্পের ২৭ জনের দলে রাখায় তিনি সুযোগ পাচ্ছেন লাল বলের স্কিল ঝালাইয়ের।