শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি রোববারও। তবে বাংলাদেশ দল আগের পরিকল্পনামতোই চালিয়ে যাচ্ছে। মাস দুয়েক আগে শুরু হয়েছিল ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন, এরপর পর্যায়ক্রমে হয়েছে দুই-তিন জন করে ও পরে ছোট গ্রুপে। অবশেষে রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের নতুন পোশাকে শুরু হলো দলীয় অনুশীলন।
জাতীয় দলের হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স নিক লির তত্ত্বাবধানে ফিটনেস পর্বের পর স্কিল ট্রেনিং পর্ব দেখভাল করেছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
অনুশীলনের পরে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও ধরা পড়ল চেনা ছন্দে ফেরার আনন্দ।
“অনেকদিন পর আমরা আজ মিরপুরে দল হিসেবে অনুশীলন শুরু করলাম। খুবই ভালো লাগছে। লকডাউনের সময়টা খুবই কঠিন ছিল, কারণ সতীর্থদের থেকে দূরে, অনুশীলন থেকে দূরে। যতটুকু বাসায় করতে পেরেছি, রানিং বা জিমের কাজগুলো। কিন্তু স্কিলের কাজগুলো করতে পারছিলাম না। এগুলো আবার শুরু করেছি বেশ কিছুদিন হলো। ব্যক্তিগত সেশন হয়েছে। এখন দলীয় অনুশীলন শুরু হলো, এটা দারুণ।”
“সতীর্থরাও বেশ উৎফুল্ল এবং আমিও। কারণ দিনশেষে এটা একটা দলীয় খেলা, দলের সবার সাথে মিলে অনুশীলনটা যদি উপভোগ করা যায় ওটা আরও বেশি কার্যকর হয় নিজের জন্য ও সতীর্থদের জন্য।”
এ দিন অবশ্য সবাইকে পাওয়া যায়নি অনুশীলনে। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্যাম্পের জন্য ২৭ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন ১৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এক দফা নেগেটিভ ফল পাওয়া সাইফ হাসান অপেক্ষা করছেন আরেক দফা পরীক্ষার। আর দু-একজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও, মোট ১০ জনকে। তারা অনুশীলনে যোগ দেবেন মঙ্গলবার আরেক দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে।