কোচ হেসনের যখন আক্ষেপ ক্রিকেটার হেসনকে নিয়ে

বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা কোচদের একজন মনে করা হয় মাইক হেসনকে। অথচ শীর্ষ পর্যায়ে কখনও ক্রিকেট খেলেননি তিনি, কোচিংয়ে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মাত্র ২২ বছর বয়সেই। খেলোয়াড়ী জীবন এত দ্রুত শেষ করা নিয়ে এমনিতে হতাশা নেই কিউই এই কোচের। তবে খানিকটা আক্ষেপ মাথাচাড়া দেয় তখনই, যখন দেখেন নিষ্প্রাণ উইকেটে হয় খেলা!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2020, 03:38 AM
Updated : 13 Sept 2020, 03:38 AM

একসময় বড় ক্রিকেটার হওয়ার আশা ছিল হেসনেরও। কিন্তু চোটের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। তাই বিকল্প খুঁজতে থাকেন খেলাটার সঙ্গে থাকার। ওটাগো ক্রিকেটের ডিরেক্টর অব কোচিংয়ে শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে লুফে নেন ২২ বছর বয়সেই।

সেই শুরু। বছর সাতেক ওভাবে চলার পর ২০০৩ সালে ওটাগোর সহকারী কোচের দায়িত্ব পান। পরে বছরই হয় যান প্রধান কোচ। নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা দলটি তার কোচিংয়ে হয়ে ওঠে লড়িয়ে এক দল। দলটির ২০ বছরের ট্রফি খরার অবসানও হয় সেই সময়ই।

৬ বছর ওটাগোর দায়িত্বে থাকার পর প্রথম আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পান ২০১১ সালে। দুই বছরের চুক্তিতে কেনিয়ার প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু পরের বছরই সেই পদ ছেড়ে দেন, কারণ স্বপ্নের দায়িত্ব তখন পেয়ে গেছেন। নিজ দেশ নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচ!

কিউইদের কোচ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের জায়গা করে নেন। তার কোচিংয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে নিউ জিল্যান্ড। রোমাঞ্চকর ক্রিকেট উপহার দিতে থাকে দলটি। নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের কোচও তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ২০১৮ সালের জুনে পারিবারিক কারণে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

এরপর থেকে ধারাভাষ্য আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিং করানো নিয়েই আছেন হেসন। এখন তিনি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ডিরেক্টর অব কোচিং। প্রধান কোচ সাইমন ক্যাটিচের সঙ্গে মিলে শখ কষছেন দলের প্রথম শিরোপা জয়ের।

বেঙ্গালুরুর টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতেই হেসন মজা করে শোনালেন খেলোয়াড়ী জীবন নিয়ে একমাত্র আক্ষেপের কথা।

“ পিঠের বেশ কিছু চোটে ভুগছিলাম আমি। সৌভাগ্যবান ছিলাম যে অনেক কম বয়সেই ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই এবং উপভোগ করতে থাকি। কোচিং খুব ভালোবেসে ফেলি এবং পরের ধাপের সঙ্গে কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে অভিজ্ঞতাও হয় অনেক।”

“হ্যাঁ, কখনও কখনও খেলোয়াড়ী জীবন নিয়ে আক্ষেপ হয় বটে, বিশেষ করে যখন দেখি নিষ্প্রাণ উইকেটে ম্যাচ হয়। এছাড়া এমনিতে আমি খুশিই।”