গত সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আমিনুলের আন্তর্জাতিক অভিষেক। প্রথম ম্যাচে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন ভারত সফরে গিয়েও। স্পিনে দারুণ দক্ষ ভারতীয়দের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অবদান রাখেন দলের জয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ধরেন জোড়া শিকার।
এরপর পাকিস্তান সফরে ও দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খারাপ করেননি। সব মিলিয়ে ৭ টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ১০ উইকেট।
আমিনুলের বোলিংয়ের মূল শক্তি আপাতত তার নিয়ন্ত্রণ, সঙ্গে ফ্লাইট ও লুপ এবং সাহসিকতা। ২০ বছর বয়সী একজনের জন্য খারাপ নয়। তবে লেগ স্পিন দিয়ে লম্বা সময় টিকে থাকতে হলে যোগ করতে হবে আরও অনেক অস্ত্র। আমিনুলের ভাবনা এখন সেসব নিয়েই।
“ লকডাউনে বোলিং নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয়নি। নিজের বোলিং ভিডিওগুলো দেখতাম, কোন জায়গায় ঘাটতি আছে, কোন জায়গায় উন্নতি করলে ভালো হবে। আমরা যখন অনুশীলন শুরু করি এবার, আমি লেগ স্পিন দিয়েই শুরু করেছি। এরপর আস্তে আস্তে গুগলি, ফ্লিপার এগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করেছি। আশা করছি সামনে ভালো কিছুই হবে।”
সেই ভালো কিছুর সীমানায় আছে একজন ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা, টেস্ট ক্রিকেটও। জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত কেবল ২০ ওভারের ক্রিকেটই খেলেছেন আমিনুল। ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে, বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও ‘এ’ দলে। আপাতত সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বিবেচনায়ই তাকে রাখা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন মোটে একটি।
তবে ভবিষ্যতে তাকিয়ে নিজেকে সব সংস্করণেই দেখতে চান আমিনুল। টেস্ট ক্রিকেটে দৃষ্টি আছে বলেই জানালেন এই লেগ স্পিনার।
“আল্টিমেটলি প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে লাল বলের ক্রিকেট খেলার জন্য। আমারও সেটা আছে, যদি কখনো সুযোগ হয় নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব।”