হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে এক নম্বরেই অস্ট্রেলিয়া

সিরিজের ফয়সালা আগেই হয়ে গেলেও বাকি ছিল র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানের লড়াই। উত্তেজনা তাই সিরিজের শেষ ম্যাচকে ঘিরেও ছিল যথেষ্ট। সেই লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া এড়িয়েছে হোয়াইটওয়াশ। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থেকে সিরিজ শুরু করা দলটি ধরে রেখেছে শীর্ষস্থানও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2020, 04:01 AM
Updated : 9 Sept 2020, 04:01 AM

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজ ইংলিশরা জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

সাউথ্যাম্পটনে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডকে ১৪৫ রানে আটকে রেখে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩ বল বাকি রেখে।

মাঝারি রান তাড়ায় এক সময় বিপাকে ছিল অস্ট্রেলিয়ানরা। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা মিচেল মার্শ দলকে এগিয়ে নিয়েছেন জয়ের পথে। এই ম্যাচ জিতলে অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারত ইংল্যান্ড।

শেষ ম্যাচে দুই দলেই ছিল বেশ পরিবর্তন। ওয়েন মর্গ্যানের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন মইন আলি। ছিলেন না প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা জস বাটলার। তাদের জায়গা নেন স্যাম বিলিংস ও জো ডেনলি। অস্ট্রেলিয়া বিশ্রাম দেয় ডেভিড ওয়ার্নার ও প্যাট কামিন্সকে। সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামেন জশ হেইজেলউড, দলে ফেরেন মার্শ। বাদ পড়েন কিপার অ্যালেক্স কেয়ারি, তার জায়গা নেন ম্যাথু ওয়েড।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারে হারায় টম ব্যান্টনকে। দ্বিতীয় উইকেটে জনি বেয়ারেস্টা ও দাভিদ মালান গড়েন ৪৯ রানের জুটি। তবে রানের গতি খুব ভালো ছিল না।

১৮ বলে ২১ করে বিদায় নেন মালান। ৩টি করে চার ও ছক্কায় বেয়ারস্টো ৫৫ করেন ৪৪ বলে। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন বিলিংস, থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মইন (২১ বলে ২৩)। ইংল্যান্ড তাই পায়নি বড় স্কোর। জো ডেনলির ১৯ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস দলকে নিয়ে যায় ১৪৫ পর্যন্ত।

অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ার শুরুটা ছিল ঝড়ো। জফ্রা আর্চারের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চ মারেন দুটি চার,  ওয়েডের ব্যাট থেকে আসে বিশাল ছক্কা। তবে ওয়েড ফিরে যান ১৪ রানেই।

সম্ভাবনা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ফিঞ্চ ও মার্কাস স্টয়নিস। আদিল রশিদের গুগলিতে ফিঞ্চ বোল্ড হন ২৬ বলে ৩৯ করে। ৫ চারে ১৮ বলে ২৬ করে ফেরেন স্টয়নিস।

রশিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও স্টিভেন স্মিথ দ্রুত ফিরলে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মার্শ ও অ্যাশটন অ্যাগার সেখান থেকে উদ্ধার করে দলকে নিয়ে যান লক্ষ্যে। ৪৬ রানের ম্যাচ জয়ী অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুজন।

মার্শ ইনিংসের শুরুতেই জীবন পান দুবার। রশিদ ও ডেনলির বলে দুবারই স্লিপে কঠিন ক্যাচ নিতে পারেননি মালান। ৩৬ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে সেই মার্শই ম্যান অব দা ম্যাচ।

শেষ ম্যাচ না খেলেও সিরিজের সেরা বাটলার।

দুই দল এখন ম্যানচেস্টারে খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, প্রথমটি শুক্রবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৫/৬ (ব্যান্টন ২, বেয়ারস্টো ৫৫, মালান ২১, বিলিংস ৪, মইন ২৩, ডেনলি ২৯*, জর্ডান ৪, কারান ২*; স্টার্ক ৪-০-২০-১, হেইজেলউড ৪-০-২৩-১, রিচার্ডসন ৪-০-৩১-১, অ্যাগার ৪-০-৩৫-১, জ্যাম্পা ৪-০-৩৫-২)।

অস্ট্রেলিয়া:  ১৯.৩ ওভারে ১৪৬/৫ (ওয়েড ১৪, ফিঞ্চ ৩৯, স্টয়নিস ২৬, ম্যাক্সওয়েল ৬, স্মিথ ৩, মার্শ ৩৯*, অ্যাগার ১৬*; আর্চার ৩-০-৩২-০, উড ৪-০-৩৮-১, জর্ডান ২.৩-০-১৯-০, রশিদ ৪-০-২১-৩, কারান ৪-০-২৩-১, ডেনলি ১-০-৮-০, মইন ১-০-৫-০)।

ফল : অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী

সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ : মিচেল মার্শ

ম্যান অব দা সিরিজ: জস বাটলার