রুটের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড এমনিতে খারাপ নয় মোটেও। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩২ ম্যাচে তার গড় ৩৫.৭২, স্ট্রাইক রেট ১২৬.৩০। অন্য অনেক দলই এই পারফরম্যান্সের একজনকে বাইরে রাখার কথা ভাববে না। তবে এই ইংল্যান্ড দলের মানসিকতা এতটা আগ্রাসী যে, সেখানে আপাতত রুটকে প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে না।
একাদশে রুটের জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে জস বাটলারকে টপ অর্ডারে উঠিয়ে আনার পর। জনি বেয়ারস্টো আছেন, সঙ্গে বাটলার। চোট কাটিয়ে সামনে ফিরবেন জেসন রয়। দাভিদ মালান এখন অসাধারণ খেলছেন, উঠে আসছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন।
সব মিলিয়ে একাদশে রুটের জায়গা বের করার পথ এই মুহূর্তে নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে মর্গ্যান ব্যাখ্যা করলেন সেই বাস্তবতাই।
“ জো রুটের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা এবং অবশ্যই তার ভবিষ্যৎ আছে (টি-টোয়েন্টি দলে)। আমাদের আলোচনা ছিল মূলত এটিকে ঘিরে যে এই মুহূর্তে জো সেরা একাদশে জায়গা পাচ্ছে না। আমরা চাইনি তাকে না খেলিয়ে স্রেফ দলে বয়ে বেড়াতে।”
“জো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চায় এবং নিজের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরতে চায়। কিন্তু ইয়র্কশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ অনেক সময়ই পায় না। এজন্যই আমরা ভেবেছি, তার জন্য এখন এটি ভালো সুযোগ।’
‘ভালো সুযোগ’ বলতে মর্গ্যান বোঝাচ্ছেন ইংল্যান্ডের চলতি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের কথা। জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকলে সাধারণত এখানে খেলার সুযোগ খুব একটা মেলে না। এবার রুট এই টুর্নামেন্টে খেলছেন এবং নিজের দাবি জানাতে শুরুও করেছেন। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ইয়র্কশায়ারের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে করেছেন ৪০ বলে ৬৪ ও ৪৩ বলে ৬৫।