কোথাও গেলে খেলতে হয় ডিউক বলে, কোথাও কুকাবুরা। কোথাও আবার চলে এসজি টেস্ট বল। একেক বলের সেলাই একেকরকম, গড়ন-ধরন আলাদা। প্রতিবারই বোলারদের মানিয়ে নিতে হয় নতুন করে। পাকিস্তানের বোলিং কোচ ও পেস কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসের তাই চাওয়া, কোনো একটি ব্র্যান্ডের বল সুনির্দিষ্ট করে দিক আইসিসি, সব দেশেই খেলা হবে সেই ব্র্যান্ডের বল দিয়ে।
Published : 04 Sep 2020, 10:47 AM
সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফর করে এলো পাকিস্তান, সেখানে খেলা হয় ডিউক বলে। এই বলে খেলা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডেও। ভারতে খেলা হয় এসজি টেস্ট বল দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় চলে কুকাবুরা, অন্য বেশির ভাগ দেশেও এই ব্র্যান্ডের বলে হয় খেলা। বাংলাদেশে প্রতিপক্ষ বুঝে কখনও খেলে কুকাবুরা দিয়ে, কখনও এসজি।
মূলত টেস্ট ম্যাচেই থাকে এই ভিন্নতা। সাদা বলে সাধারণত সব জায়গাতেই ব্যবহার করা হয় কুকাবুরা।
বল থেকে বলে মূল পার্থক্য মূলত সেলাইয়ের ধরনে। কুকাবুরা বলের চেয়ে ডিউক বলের সিম একটু বেশি খাড়া ও পুরু। প্রায় ৫০ ওভার পর্যন্ত সিম খুব বেশি বসে যায় না। ডিউক বলকে তাই পেস বোলিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী বলে মনে করা হয়।
ওয়াকার নিজেও ডিউক বলের ভক্ত। তবে যে বলই হোক, কোনো একটি বল দিয়েই বিশ্বজুড়ে খেলা হওয়া উচিত, পিসিবির ওয়েবসাইটে নিজের কলামে লিখেছেন সাবেক এই ফাস্ট বোলার।
ব্যাটসম্যান-বান্ধব নানা নিয়ম-নীতির এই যুগে বোলারদের জন্য নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। আপাতত বলে লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। বোলারদের সুইং আদায় করা ও কারুকাজ দেখানো তাতে হয়ে উঠছে আরও কঠিন। তবে ইংল্যান্ডে সাম্প্রতিক সিরিজে এটি খুব বড় প্রভাব ফেলতে পারেনি কন্ডিশনের কারণে, বলছেন ওয়াকার।
“ সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দুই দলের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া। তবে ইংল্যান্ডে আবহাওয়ার কারণে সেটি খুব বড় সমস্যা হয়ে ওঠেনি। পিচগুলি যদিও শুষ্ক ছিল, তবে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল প্রচুরে এবং মাঠও ছিল সজীব। বল ভালো অবস্থায় রাখতে তাই অসুবিধা হয়নি। কিন্তু অন্য সব জায়গায় বল ভালো অবস্থায় রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ।”