বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দুটি হতে পারে পাল্লেকেলেতে। শ্রীলঙ্কার এই ভেন্যুতে অনেক সময় পেসারদের সহায়তা থাকে কিছুটা। প্রশ্ন হলো, এবারও যদি সহায়তা কিছু মেলে, তা কতটা কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ? এই দেশে পেস বোলিংয়ের যে দীনতা, বেশি পেসার খেলালেও তারা কার্যকর হবেন কতটা?
বিসিবিতে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল শোনালেন আশার কথা।
“এখন কিন্তু কিছু ফাস্ট বোলার আছে, যাদের আমরা টেস্টের জন্য তৈরি করে রাখছি। চার-পাঁচজনের পুল করা আছে। সেখান থেকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। টিম কম্বিনেশনের কারণে উপমহাদেশে আমরা দুইজন ফাস্ট বোলার খেলাচ্ছি। বাইরে গেলে তিন পেসার খেলানোর কথা চিন্তা করি।”
গত দুই বছরে আবু জায়েদ চৌধুরি টেস্টে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে উন্নতির ছাপ রেখেছেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। চোটাঘাত না থাকলে এই দুজনের ওপরই হয়তো পেস বোলিংয়ের মূল ভার থাকবে শ্রীলঙ্কায়। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান লাল বলে নিজেকে নতুন করে মেলে ধরার চেষ্টায় আছেন। পাশাপাশি তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম, দীর্ঘ চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফেরা সৈয়দ খালেদ আহমেদ থাকবেন জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে।
শুধু পেস বোলিংয়েই নয়, সব ক্ষেত্রেই সুযোগ যাকে দেওয়া হবে, নিজেকে প্রমাণের পর্যাপ্ত সময় তাকে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করলেন মিনহাজুল।
“আমরা চাচ্ছি ক্রিকেটারদের একটু সময় নিয়ে দেখতে। সবসময়ই আমরা সময় দিয়ে আসছি। সামনেও অবশ্যই দেব। কারণ যার প্রতিভা আছে, একটু সময় না দিলে সেই প্রতিভা দেখা মুশকিল হয়ে যায়। ক্রিকেটারদের ওপর যদি আমাদের আস্থা থাকে, ওদেরও যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, দায়িত্ব নিয়ে যদি খেলতে পারে, দেশের জন্য ভালো হবে, ওর ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো হবে।”