ক্রিকেট ততটা ‘মিস’ করেননি কোহলি

লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে। ব্যাট হাতে নেওয়া হয়নি পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে। না খেলতে পারার আক্ষেপ কাজ করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিরাট কোহলি শোনালেন ভিন্ন কথা। অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে নাকি ক্রিকেটের অভাব তেমন একটা বোধ করেননি ভারত অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2020, 11:07 AM
Updated : 1 Sept 2020, 11:07 AM

করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত মার্চ থেকে ক্রিকেট বন্ধ ছিল দীর্ঘ দিন। কোহলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে। আইপিএল দিয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক।

ওয়ানডে দিয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটের বাইরে খুব বেশি থাকতে হয়নি কোহলিকে। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি ও এর এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখা এই ব্যাটসম্যান এখন ভারতের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। সবকিছু মিলিয়ে, লম্বা বিশ্রাম নেওয়ার খুব একটা সুযোগ এতদিন মেলেনি তার।

২০১৭ সাল থেকে কোহলি বছরে গড়ে অন্তত খেলেছেন ৪০টি করে ম্যাচ। যেখানে এ বছর এরই মধ্যে ১৫টি খেলে ফেলেছেন। তাইতো কোভিড-১৯ মহামারী কোহলির কাছে যেন ‘আশীর্বাদ’ হয়ে এসেছে। পরিবারকে দীর্ঘ সময় দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি জানান, সম্ভবত টানা খেলার পর লম্বা বিরতি পাওয়ায় ক্রিকেটকে খুব বেশি মিস করেননি তিনি।

“সবকিছু ঠিকই ছিল। সত্যি বলতে, আমি খেলাটিকে যতটা মিস করব ভেবেছিলাম, ততটা করিনি। এর কারণ হতে পারে, এর আগে ৯-১০ বছর আমি টানা খেলেছি এবং দীর্ঘ সময়ে একমাত্র এই বিরতিটাই আমি পেয়েছি। বিষয়টি আমার কাছেও কিছুটা অবাক করার মতো।”

কঠিন এই সময়ে এবারের আইপিএল নিয়ে ছিল শঙ্কা। ধীরে ধীরে কয়েকটি দেশে ক্রিকেট মাঠে ফেরার ধারাবাহিকতায় বিসিসিআইও সিদ্ধান্ত নেয় আইপিএল আয়োজনের। কিন্তু ভারতে কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকায় এবারের আসরটি হবে আরব আমিরাতে, শুরু হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর।

কোহলির মতে, অনিশ্চিত সবকিছুই এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আর তাই আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছেন তিনি।

“কয়েক মাস আগে কল্পনা করিনি যে প্রথমেই আইপিএল খেলব। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করল...কয়েকটি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াল। সেসব থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেলাম। গতকাল যখন আমরা অনুশীলন করছিলাম, তখন মনে হলো যে কতদিন পার হয়ে গেছে। অনুশীলনে যাওয়ার সময় কিছুটা নার্ভাস লাগছিল, দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিল...।”