ম্যানচেস্টারে স্বাগতিকদের ইনিংসের সপ্তদশ ওভারে বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি। সে সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩১ রান।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জনি বেয়ারস্টো।
চোটের জন্য সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়া জেসন রয়ের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা ব্যান্টন ফিরতে পারতেন শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ইফতেখার আহমেদ। সে সময় ৫ রানে ছিলেন ব্যান্টন।
ইংল্যান্ডের দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের শুরুটা ছিল সাবধানী। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা তুলতে পারে কেবল ৩৪ রান।
থিতু হয়ে যাওয়ার পর ঝড় তোলেন ব্যান্টন। বড় ঝাপটা গেছে শাদাব খান ও হারিস রউফের ওপর দিয়ে। লেগ স্পিনারকে ছক্কায় স্বাগত জানান ইংলিশ ওপেনার। শাদাবের পরের ওভারের প্রথম দুই বলে হাঁকান আরও দুটি ছক্কা।
রউফের স্লোয়ার ছিল অকার্যকর। দারুণ সব স্কুপ শট খেলে তাকে এলোমেলো করে দেন ব্যান্টন। ৩৩ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
এর আগেই অবশ্য ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান মালান। ক্রিজে যাওয়ার পর শট খেলতে শুরু করেন ওয়েন মর্গ্যানও। দ্রুত এগোতে থাকে ইংল্যান্ড।
এই উইকেট দিয়েই দিক হারায় ইংলিশরা। মর্গ্যানকে এলবিডব্লিউ করে দেন ইফতেখার। শাদাবের বলে দ্বিতীয় চেষ্টার মইন আলির ক্যাচ গ্লাভসে জমান মোহাম্মদ রিজওয়ান। পরে ইমাদের বলে স্টাম্পড করেন লুইস গ্রেগোরিকে।
১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ড লড়াইয়ের পুঁজি পেতে তাকিয়ে ছিল স্যাম বিলিংস ও অলরাউন্ডারদের দিকে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আর মাঠেই ফিরতে পারেনি দুই দল।
বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ দুই উইকেট নেন ৩১ রানে। লেগ স্পিনার শাদাব ৩৩ রানে দুটি।
আগামী রোববার একই মাঠে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ১৬.১ ওভারে ১৩১/৬ (বেয়ারস্টো ২, ব্যান্টন ৭১, মালান ২৩, মর্গ্যান ১৪, মইন ৮, বিলিংস ৩*, গ্রেগরি ২, জর্ডান ২*; ইমাদ ৪-০-৩১-২, আফ্রিদি ২-০-১০-০, আমির ২.১-০-১৪-০,রউফ ৩-০-৩২-০, শাদাব ৪-০-৩৩-২, ইফতেখার ১-০-৭-১)
ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত