কব্জির চোটের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে যেতে পারেননি সাদমান। খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে। গত ১১ মার্চ তার অস্ত্রোপচার হয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।
লকডাউনের মাঝেই ফেরেন দেশে। এই সময়ে চলেছে তার পুনর্বাসন। গত মাসে বিয়ে করেন ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ঈদের পর বিসিবির তত্ত্বাবধানে মিরপুরে যোগ দেন একক অনুশীলনে। বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে সাদমান ফিরে তাকালেন পেছনের এই সময়টায়।
“অস্ত্রোপচারের জন্য যখন অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়েছিল, দেশে ফেরার তিন-চার দিন পরই লকডাউন শুরু হয়। তখন আমার তেমন ট্রিটমেন্ট করা হয়নি। তখন এলাহী স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বাসায় কিছু কাজ দেওয়া হয়েছিল। আর আস্তে আস্তে আমার হাতের অবস্থা ভালো হওয়া শুরু হলে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করলাম।”
“রিহ্যাবে যেই কাজগুলো দিয়েছিল, সেগুলো শুরু করেছিলাম। আড়াই মাসের মতো কাজ করার পর আমার একটা জায়গা আছে একাডেমি, সেখানে মাঝে মাঝে ব্যাটিং ড্রিল করতাম, রানিং করতাম। জিমটা করতাম। আর এখন তো ক্যাম্প শুরু হয়েছে।”
অনুশীলনে ফিরে বোলিং মেশিনে ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভয় পাচ্ছিলেন বলে জানালেন দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট খেলা সাদমান।
“লকডাউনের পরে বা ঈদের পরে আমি কোথাও অনুশীলন শুরু করিনি। ব্যাটিং করা হয়নি বা মেশিনে লম্বা সময় ব্যাটিং করা হয়নি। একাডেমিতে আমি ড্রিল করেছি। এখানে এসে যখন ব্যাটিং করলাম মেশিনে তখন, শুরুতে একটু ভয় হচ্ছিল। এর আগে তো ব্যাটিং করা হয়নি, ভেবেছিলাম ব্যথা লাগতে পারে।”
“কিন্তু প্রথম দিন ব্যাটিং করার পর আল্লাহর রহমতে ব্যথা অনুভব করিনি। এখন তো আমাদের বোলাররা বোলিং করছে। খুব ভালো লাগছে। ব্যথা নেই এখন।”
তিনটি টেস্ট খেলতে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সাদমান এখন প্রহর গুনছেন মাঠের ক্রিকেটের অপেক্ষায়।
“সামনে আমাদের একটা সিরিজ আছে বা দেশের কোনো ঘরোয়া খেলা শুরু হবে। আমি আগে যেভাবে অনুশীলন করতে পারতাম এখনও সেভাবে অনুশীলন করতে পারছি। আগে যেভাবে খেলতে পারতাম, এখনও সেভাবে খেলতে পারছি। আশা করছি সামনে খেলা শুরু হলে বেশ ভালোভাবেই শুরু করতে পারব।”