পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার অ্যান্ডারসন স্পর্শ করেন অসাধারণ এই মাইলফলক। টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ বোলার হিসেবে পান ৬০০ উইকেটের স্বাদ।
এই সিরিজের প্রথম টেস্টের পর অ্যান্ডারসনের অবসর নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জন। অনেকে এই গ্রীষ্মেই তার শেষ দেখে ফেলছিলেন। তিনি অবশ্য তখনই বলেছিলেন, এখনই টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার কোনো ইচ্ছে তার নেই। আগামী বছরের অ্যাশেজে এমনকি এরপরও যতদিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যেতে চান ডানহাতি এই পেসার।
সাউথ্যাম্পটনে মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে অ্যান্ডারসন জানান, টিম ম্যানেজমেন্টও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজের দলে চায় তাকে।
“রুটের সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে, সে বলেছে আমাকে অস্ট্রেলিয়াতেও পেতে চায়। আমি সেখানে না থাকার কোনো কারণ দেখি না। আমি ফিটনেস নিয়ে সবসময় কঠোর পরিশ্রম করছি, আমার খেলা নিয়েও।”
“এই গ্রীষ্মে আমি যতটা ভালো বোলিং করতে চেয়েছি, ততটা পারিনি। তবে এই টেস্টে আমি নিজের ছন্দে ছিলাম। আমার মনে হয়, দলকে দেওয়ার মতো আমার এখনও অনেক কিছু আছে। যতদিন এমন অনুভূতি কাজ করবে, আমি খেলে যাব। আমার মনে হয় না, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে শেষ টেস্ট জিতে ফেলেছি। আমি ৭০০ উইকেটে যেতে পারব কি-না? কেন নয়?”
গ্লেন ম্যাকগ্রার আগের রেকর্ড ৫৬৩ উইকেট ছাড়িয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার হয়ে যান অ্যান্ডারসন। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে আরেক রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিকে স্পর্শ করেন তিনি। টেস্টে সমান ২৯ বার করে পাঁচ উইকেট এখন দুজনের। ৩৬ বার ৫ উইকেট নিয়ে পেসারদের মধ্যে তাদের ওপরে আছেন কেবল নিউ জিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। অ্যান্ডারসন তাকিয়ে এখন সামনের সিরিজগুলির দিকে।
“আমরা এখনও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আছি। জেতার জন্য এখনও আমাদের সামনে সিরিজ এবং টেস্ট ম্যাচ আছে। এই ম্যাচগুলির জন্য সত্যিই আমি উন্মুখ হয়ে আছি। দল কীভাবে এগিয়ে যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক। যতদিন তারা আমাকে চাইবে আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাব এবং এই দলে খেলতে নিজেকে যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করব।