শুরুতে ৪৫ ক্রিকেটারকে ক্যাম্পের জন্য ডাকা হলেও পরে যোগ করা হয় আরও একজনকে।
মিরপুরে গত সপ্তাহে তিন ধাপে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয় সবার। এর মধ্যে অলরাউন্ডার ইফতেখার হোসেন দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও আরেক দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসে। আপাতত বিসিবির তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। বাকি ক্রিকেটারদের নিয়ে সোমবার স্কিল অনুশীলন দিয়ে শুরু হয়েছে ক্যাম্প।
ক্যাম্প থেকে নিজের ভুলগুলি ঠিক করে নেওয়ার আশায় বিকেএসপির রিহাদ খান।
“অনেকদিন অনুশীলন বন্ধ ছিল, আমরা আবারও শুরু করেছি। একসঙ্গে অনুশীলন করা ভালো একটা ব্যাপার। এতদিন যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো শুধরে নেওয়া যাবে।”
গত যুব বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে খেললেও মূল টুর্নামেন্টে সুযোগ পাননি খেলার। তিনি আছেন এবারের ক্যাম্পে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের কণ্ঠেও মাঠে ফেরার স্বস্তি।
“অনেকদিন পর মাঠে ফিরে ভালো লাগছে। প্রথমত, বিসিবিকে ধন্যবাদ এরকম একটা ক্যাম্প আয়োজনের জন্য। আমাদের ইচ্ছে থাকলেও (অনুশীলন করা) সম্ভব হচ্ছিল না এই মহামারীর ভেতরে। এখন আবার সবাই একসঙ্গে হওয়া, কোচ, ট্রেনার; সব মিলিয়ে গুছিয়ে নিতে পারছি।”
“বাসায় থাকতে থাকতে আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম। এখন আবার শুরু হয়েছে। আশা করি, আস্তে আস্তে আরও ভালো অবস্থায় যাব।”
ক্যাম্পের অনুশীলন সেশনগুলি কিভাবে সাজানো হয়েছে, সেটির একটি ধারণা দিলেন ব্যাটিং কোচ মেহরাব হোসেন।
“পাঁচ দিন পর আমরা নেটে যাব। যেখানে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা নিজেদের দেখতে পাবে। নেটে আমরা ৮ দিন সময় পাব। যেখানে ব্যাটসম্যান, বোলাররা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।”
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে আটটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ক্রিকেটারদের। সেখান থেকে ভালো একটি দল গঠন করতে পারবেন বলে আশাবাদী মেহরাব।
“পরের প্রোগ্রামটা হচ্ছে আমাদের ম্যাচ অনুশীলন। তিনটি দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলানো হবে। সেখান থেকে পারফরম্যান্স অনুযায়ী ভালো কিছু আশা করছি। আমরা একটা দল গঠনে সাহায্য করব।”
এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে পরের আসর বসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।