সব সময়ের সেরা পেসারদের একজন লিলি। সত্তর-আশির দশকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ৭০টি টেস্ট। ২৩.৯২ গড়ে নিয়েছেন ৩৫৫ উইকেট। দেশের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ বোলার ও পেসার হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ৬৩ ওয়ানডেতে ১০৩ উইকেট।
নাসিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পথচলা কেবল শুরু হয়েছে। গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট অভিষেক হওয়া এই পেসার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৬ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন ১৫টি। গতির ঝড় তুলে এরই মধ্যে সকলের নজরে এসেছেন তিনি।
তবে লিলির মতো একজন হওয়া যে এখনও বহু দূরের পথ, ভালো করেই জানেন নাসিম। তবে বিবিসির একটি আয়োজনে জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনা তাকে বেশ অনুপ্রাণিতই করে।
“তিনি এতো বড় একজন কিংবদন্তি। আমি কেবল আমার সহজাত বোলিং করি, আর ওনার মতো কিংবদন্তি হতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। নিজের নাম বানাতে ওনার চেয়ে বেশি যদি নাও পারি ওনার মতো পরিশ্রম করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ওয়াকার ইউনিসের সান্নিধ্য পেয়ে আসছেন নাসিম। কদিন আগেই জানিয়েছিলেন, কিংবদন্তি এই পেসারের সঙ্গে কাজ করে হতে চান আরও পরিণত, সময়ের সেরা পেসারদের একজন। এখন জানালেন, ক্রিকেটের বাইরেও পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই পেসারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার।
“আমি ওয়াকারের খুব কাছের এবং এটা ক্রিকেটের দিক থেকে নয়, জীবনের দিক থেকে। তিনি আমাকে সব কিছু জিজ্ঞাসা করেন এবং আমি এতো বড় কিংবদন্তিকে ভয় পাই না। শুধু একটি ভয়ই কাজ করে, ওনার সামনে আমি কখনও খারাপ কিছু বলতে চাই না। তিনি আমাকে জীবন সম্পর্কে সব ধরনের পরামর্শ দেন।”
অভিষেকের পরের মাসেই বিশ্ব রেকর্ড গড়েন নাসিম। সবচেয়ে কম বয়সী ফাস্ট বোলার হিসেবে নেন পাঁচ উইকেট; করাচিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর গত ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে সবচেয়ে কম বয়সী বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।