শোয়েবকে মুরালিধরনের আঙুল ভেঙে দিতে বলেছিলেন ইউসুফ

শোয়েব আখতারের গতি অনেক বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের জন্যই ছিল আতঙ্ক জাগানিয়া। লোয়ার অর্ডারদের অবস্থা সেখানে বলাই বাহুল্য! খেলোয়াড়ি জীবনের মজার এক স্মৃতি মনে করলেন পাকিস্তানের সাবেক এই ফাস্ট বোলার। মুত্তিয়া মুরালিধরন ব্যাটিংয়ে নেমে শোয়েবকে বলতেন আস্তে বল করতে। মোহাম্মদ ইউসুফ তখন মজা করে শোয়েবকে বলতেন, এই লঙ্কান স্পিন কিংবদন্তির আঙুল ভেঙে দিতে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2020, 05:45 AM
Updated : 21 August 2020, 08:16 AM

ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গতিময় বোলারদের একজন শোয়েব। তার বল খেলতে গিয়ে শরীরে আঘাত পাওয়া ব্যাটসম্যানের সংখ্যা কম নয়। সম্প্রতি পাকিস্তানের এক ইউটিউব শোতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন কোন ব্যাটসম্যান তাকে অনুরোধ করতেন শরীরে বল না লাগাতে। এই প্রসঙ্গেই শোয়েব বললেন মুরালিধরনের সেই ঘটনা।

“অনেকেই বলেছে তাদেরকে আঘাত না করতে। একজন যেমন ছিল মুরালিধরন। ভারতেরও টেলএন্ডারদের অনেকে বলত, ‘আমাদের আঘাত করো না, পরিবার আছে আমাদের।’ মুরালিধরন আমাকে বলত, ‘আস্তে বল করো, আমি এমনিতেই আউট হয়ে যাব।”

“ইউসুফ আমাকে বলত মুরালিধরনকে আঘাত করতে। সে বলত, ‘ওর আঙুলে ভেঙে দাও, ওর স্পিন খেলতেই পারি না।’ আমি মুরালিধরনকে কয়েকটি বাউন্সার মারলাম। সে বলল, ‘এসব বাদ দাও, বল গায়ে লাগলে তো মরে যাব!”

২০০৩ সালে লাহোর টেস্টে গ্যারি কার্স্টেনকে আহত করার সেই ঘটনাও মনে করলেন শোয়েব। রাউন্ড দা উইকেটে করা শোয়েবের ৯১ মাইল গতির বাউন্সার পুল করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বল লাগে তার হেলমেটে। টলতে টলতে ভূপাতিত হন কার্স্টেন। হেলমেট খোলার পর দেখা যায়, জখম হয়েছে চোখ। বাঁ চোখের নিচে বাজেভাবে কেটে গিয়ে গলগল করে পড়তে থাকে রক্ত। মুহূর্তেই রক্তাক্ত হয়ে যায় তার মুখ।

শোয়েব জানালেন, মুখের ক্ষত মুছে গেলেও কার্স্টেনের মনের ক্ষত রয়ে গেছে এখনও।

“আমি গ্যারিকে বলেছিলাম আমার বলে পুল করার চেষ্টা না করতে। বারবার বলেছি, বিশ্বের দ্রুততম বোলারের বিপক্ষে ভুলেও এই চেষ্টা করো না। কিন্তু সে শোনেনি, এরপরই প্রচণ্ড জোরে আঘাত পায়। এখনও আমার সঙ্গে যখনই তার দেখা হয়, সে চোখের দিকে দেখায়।”