গত জুনে স্যামি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ মৌসুমে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় তাকে ও লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে সতীর্থরা ডাকতেন ‘কালু’ নামে। তখন তিনি ভেবেছিলেন, ‘কালু’ শব্দের অর্থ ‘তেজী ঘোড়া।’ পরে যখন জেনেছেন এটি একটি বর্ণবাদী ডাক, তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হন প্রতিবাদে।
সানরাইজার্সে স্যামির পুরোনো কয়েকজন সতীর্থ যদিও তা উড়িয়ে দেন, তবে পরে পেসার ইশান্ত শর্মার একটি পুরোনো ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রমাণ পাওয়া যায় স্যামিকে ‘কালু’ নামে ডাকার। স্যামি তখন দাবি করেন, বর্ণবাদী আচরণের জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এরপর পেরিয়ে গেছে আরও দুই মাসের বেশি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে স্যামি ফিরেছেন মাঠে। তার আগে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার বললেন, আপাতত তিনি তাকাচ্ছেন সামনে। তবে প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও মুখ খুলবেন আবার।
“ আমি ক্ষোভ পুষে রাখি না। ইশান্ত শর্মার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় যেমন তাকে ভাই হিসেবে ভাবতাম, এখনও তাকে সেভাবেই দেখি।”
“ তবে ভবিষ্যতেও যদি কখনও বুঝতে পারি যে কোনো বর্ণবাদী ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে আমার ক্ষেত্রে, যে সময়ই বুঝতে পারব, তখনই সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলব। এই ক্ষেত্রেও সেটিই করেছিলাম। আমি কথা বলেছি, নিজের মতামত জানিয়েছি এবং এখন সামনে তাকাচ্ছি। এই ইস্যু থেকেই ক্রিকেট মহলে আলোচনা শুরু হয়েছি (বর্ণবাদ নিয়ে)। কাজেই মুখ খোলা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই।”
গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড মারা যাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটির ঢেউ স্পর্শ করেছিল ক্রিকেটকেও। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা সোচ্চার ছিলেন বর্ণবাদ নিয়ে। স্যামির অভিযোগ সেটিকে দিয়েছিল নতুন মাত্রা। পরে ক্রিস গেইলও বলেছিলেন নানা সময়ে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার কথা।