পাঁচ মাসের অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি তাকে আরও সতেজ করে তুলেছে বলে মনে করছেন ফিঞ্চ। এই সময়ে পুনর্বিবেচনা করেছেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিওকে অবসর নিয়ে নিজের ভাবনা জানান ৩৩ বছর বয়সী ওপেনার।
“ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দিন। এটাই আমার লক্ষ্য এবং আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড়। কিছুদিন আগে থেকেই এটা আমার মাথায় ছিল, বিরতির সময়ে বিষয়টা নিশ্চিত করে ফেলি। বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স ৩৬ বছর হয়ে যাবে। এর মাঝে অবশ্য আমার ফর্ম, চোটের বিষয়ও থাকছে।”
“এই বিরতি অনেক মানুষের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন; তবে অ্যাথলেটদের জন্য, বিশেষ করে যারা বিরতিহীন ভ্রমণ করে এবং বছরে ১০-১১ মাস খেলে তাদের জন্য এটা ছিল মানসিকভাবে সতেজ হওয়ার সুযোগ। এটার প্রয়োজনও ছিল, যে সুযোগ আগে হয়নি।”
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে লড়ছে মেলবোর্ন কর্তৃপক্ষ। সেখানেই বর্তমানে লকডাউনে আছেন ফিঞ্চ। জানালেন, আইসোলেশনে থাকার প্রথম মাসে তিনি ক্রিকেটের অভাব বোধ করেননি। তখনই তার মনে হয়, তাহলে কি আগের সেই প্রেরণা হারিয়ে ফেলেছেন?
“সত্যিকার অর্থে, ওটা ছিল আমার জন্য অ্যালার্মিং। ভাবলাম, তাহলে কি আমি ক্যারিয়ারের শেষের দিকে চলে এসেছি। অবশেষে (অনুশীলন ছাড়া) ৩২তম দিনে সেই পুরনো তাড়না বোধ করি এবং বুঝতে পারি মাঠে ফিরতে আমার তর সইছে না।”
২০১৫ সালে দেশের মাটিতে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ফিঞ্চ। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে গত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলে অস্ট্রেলিয়া।
এবার আগামী তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপের অংশ হতে চান ফিঞ্চ। কিছু দিন আগে জানান, এই তিন আসরে শিরোপা জিততে ছক কষছেন তিনি।
আগামী মাসে ইংল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজ দিয়ে গত মার্চের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে অস্ট্রেলিয়া।