সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে সাবেকদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার কথা শনিবার ইনস্টাগ্রামে নিশ্চিত করেন রায়না।
২০১৭ সাল থেকে ভারতীয় বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে ছিলেন রায়না। গত দুই বছর ধরে ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে হয়ে থাকল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ক্যারিয়ারে ১৮ টেস্ট, ২২৬ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন রায়না। লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় পাঁচ বছর। প্রথম টেস্ট খেলেন একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, ২০১০ সালে। টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পান ২০০৬ সালে।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় রায়নার নাম উজ্জ্বল থাকবে এক জায়গায়; টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যানও তিনি।
টেস্ট অভিষেকের পাঁচ বছর পরেই থেমে যায় এই সংস্করণে তার পথচলা। ১৮ টেস্টে করেছেন মাত্র ৭৬৮ রান, সেঞ্চুরি একটি ও হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। ওয়ানডেতে ৫ সেঞ্চুরি ও ৩৬ হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৫.৩১ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ৬১৫। টি-টোয়েন্টিতে তার রান দেড় হাজারের ওপরে, একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি।
বল হাতেও দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতেন রায়না। অফ স্পিনে ৬২টি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। ফিল্ডার হিসেবেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
প্রয়োজনে দলকে নেতৃত্বও দিতে দেখা গেছে রায়নাকে। ২০১১ বিশ্বকাপের পরপর ধোনি বিশ্রামে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জেতা ওয়ানডে সিরিজে ভারতের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ২০১৪ সালে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে ২-০ ব্যবধানে জেতেন সিরিজ।