‘মাঠে ফিরে শান্তি লাগছে, বোলিং করে তৃপ্তি’

লম্বা বিরতির পর মাঠে নেমে শুরুতে মানিয়ে নিতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়-অনেকের মুখে এমন কথা শুনে একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন জাহানারা আলম। একটু শঙ্কা নিয়েই এসেছিলেন অনুশীলনে। নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ এই পেসার শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনে। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2020, 12:39 PM
Updated : 10 August 2020, 12:39 PM

বিসিবির তত্ত্বাবধানে চলমান একক অনুশীলনে সোমবার যোগ দেন ৯ নারী ক্রিকেটার। এতো দিন কেবল পুরুষ ক্রিকেটাররাই অনুশীলন করছিলেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম আর বোলিং করার পর নিজের অনুভূতি জানান জাহানারা। 

“জিম করেছি আর বোলিং করেছি। আমাদের তিন দিনের সূচি দিয়েছে। পরের দুই দিনও পেস বোলিং আছে। আমাদের প্রথম সপ্তাহে তিন ওভার করে বোলিং করতে বলেছে। আজ তিন ওভারই বোলিং করেছি।”

লম্বা বিরতির পর মাঠে ফিরলেন জাহানারা। তবে মাঝের সময়টুকু ঠিকঠাক কাজে লাগানোয় তার মনে হচ্ছে, স্রেফ এক সপ্তাহ ছিলেন বাইরে।

“এতোদিন পর বোলিং করলাম, লাইন আর লেংথে কিছুটা সমস্যাতো হবেই। এরপরও ১৪টা বল করতে পেরেছি জায়গা মতো। বাকি বলগুলো যে লেংথে চেয়েছি সেই লেংথে পারিনি। যদিও আমার মনে হচ্ছে, এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়েই মাঠে ফিরেছি। কিন্তু আসলে তো হয়ে গেছে ৫ মাস, এতো লম্বা বিরতির একটা ছাপ তো পড়বেই।”

নিজের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট জাহানারা। তবে মাঠে ফিরতে পারাটাই আপাত তার কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

“শান্তি লাগছে। অনেক বেশি তৃপ্তির অনুভূতি হচ্ছে। অনেক দিন পর বোলিং করতে পেরেছি। অনেকেই বলছিল, অনেক দিন পর মাঠে ফিরে মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ওদের অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, ওদের এই অবস্থা হলে আমাদের মেয়েদের কী হবে। শেষ পর্যন্ত আমার তেমন কিছুই হয়নি।”

“সবকিছু মিলিয়ে আমি অনেক ভালো ফিল করেছি। অনেকদিন পর বোলিং করলাম, মিরপুরে মাঠে হাঁটলাম। দীর্ঘদিন পর এমন অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। প্রথমদিন অনুশীলন করার পর পিঠ, ঘাড় ও কাঁধে অনেক সময় ব্যথা করে। বিশেষ করে পরদিন ঘুম থেকে উঠার পর। আজকে বোলিং করেছি, কালকে সকালে হয়তো বুঝতে পারবো, কতটা ব্যথা হচ্ছে।”