পাকিস্তানের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে দুই ইনিংসে ওকস নিয়েছেন ৪ উইকেট। সবগুলিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে আসল কাজটি করেছেন ব্যাট হাতে, শনিবার ম্যাচের শেষ ইনিংসে। ২৭৭ রান তাড়ায় যখন উইকেটে গেলেন, ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল তখন কাঁপছে। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে তিনি ও বাটলার বদলে দেন ম্যাচের চিত্র। ১৩৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। ১০১ বলে ৮৫ করে বাটলার আউট হলেও ১২০ বলে ৮৪ রান করে ওকস ফেরেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।
এই সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ওকস, শেষ টেস্টে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তার পরও একাদশে জায়গা নিয়ে সংশয় ছিল মূলত ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে লড়াইটা তীব্র বলে। ম্যাচের আগে তিনি বলেছিলেন, “আশা করি, জায়গা ধরে রাখার মতো পারফরম্যান্স করতে পেরেছি।”
শেষ পর্যন্ত তিনি জায়গা পান। তবে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন যারা, প্রতিটি টেস্টই তো তাদের কঠিন পরীক্ষায়। ভালো না করলেই পড়তে পারে কোপ। ওকস নিশ্চিত করলেন, অন্তত আরও একটি টেস্টে তাকে একাদশে রাখতেই হবে।
রুট অবশ্য আগে থেকেই মুগ্ধ তার প্রতি। সব ম্যাচে হয়তো তাকে একাদশে জায়গা দিতে পারেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তবে জানালেন, ওকসের প্রতি দলের আস্থার জায়গায় কমতি নেই একটুও।
“ সে ‘মি. ডিপেন্ডেবল।’ দারুণ ধারাবাহিক সে। মাঠের ভেতরে-বাইরে সে এমন একজন, যার ওপর সবসময় নির্ভর করা যায়, যা করতে বলব, ঠিক তা করে দেবে। বিশেষ করে, গত দুই বছরে সে ক্রমশ উন্নতি করছে এবং আগের চেয়েও বেশি ধারাবাহিক।”