ব্যর্থ হলেই ক্যারিয়ার শেষ, জানতেন বাটলার

ব্যাটে ধারাবাহিকতা নেই, কিপিংয়ে নেই ধার। পারফরম্যান্স নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন, দলে জায়গা নিয়েই টানাটানি। সব মিলিয়ে বাস্তবতা ঠিকই অনুভব করছিলেন জস বাটলার। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় ইংল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান জানতেন, এটি হতে পারে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2020, 05:09 AM
Updated : 9 August 2020, 05:09 AM

পাকিস্তানের বিপক্ষে শনিবার সেই ‘শেষ’ সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন বাটলার। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন জয়ের পথে। ক্রিস ওকসের সঙ্গে তার অসাধারণ জুটিই ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে স্মরণীয় এক জয়।

বাটলার যখন ব্যাটিংয়ে নামেন এ দিন, শেষ ইনিংসে ২৭৭ রান তাড়ায় ইংল্যান্ড তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ১০৬ রানে। দলের জয় তখন বহুদূরে, কিন্তু বাটলারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ খুব কাছে!

এই ইনিংসে ব্যর্থ হলে জায়গা হারাতে হবে, জানতেন বাটলার। ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে সেটা জানালেন অকপটেই।

“ অবশ্যই এই ভাবনা এসেছে যে এবার রান করতে না পারলে সম্ভবত এটিই আমার শেষ ম্যাচ। এসব ব্যাপার মাথায় ছিল। তবে মাঠে নেমে চেষ্টা করতে হয় সেই ভাবনাগুলো চাপা দিয়ে খেলায় মনোযোগ দিতে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে। আমি সন্তুষ্ট যে সেটি এখানে করতে পেরেছি।”

বাটলার উইকেটে যাওয়ার একটু পর অলিভার পোপের বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৭। পাকিস্তানিরা তখন জয় দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাটলার ও ওকস বদলে দেন দৃশ্যপট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানি বোলারদের ভড়কে দিয়ে দুজন ১৩৯ রানের জুটি গড়েন ওভারপ্রতি চারের বেশি রান তুলে। জয়ের দুয়ারে গিয়ে আউট হন বাটলার, ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন ওকস।

ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তো ছিলই, বাটলার আরও চাপে ছিলেন উইকেটের পেছনে পারফরম্যান্সের কারণেও। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ওপেনার শান মাসুদকে দুই দফায় জীবন দিয়েছেন তিনি, একবার হাতছাড়া করেছেন স্টাম্পিংয়ের সুযোগ, আরেকবার ক্যাচ। ৪৫ রানে দুবার রেহাই পেয়ে মাসুদ খেলেছেন ১৫৬ রানের ইনিংস।

ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে দলে জায়গা হয়তো টেকাতে পারছেন বাটলার। তবে তিনি জানেন, কিপিংয়েও উন্নতি করতে হবে।

“ ওই সুযোগগুলো আমি নিতে পারলে আরও ঘণ্টা দুয়েক আগেই আমরা জিতে যেতাম। খুব ভালো করেই জানি, আমি ভালো কিপিং করিনি। কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি, এই পর্যায়ে যা করার সুযোগ কোনোভাবেই নেই, তা ব্যাটিংয়ে যত রানই করি না কেন। অবশ্যই আরও ভালো করতে হবে এবং আমি তা জানি।”