মাসুদের সেঞ্চুরির পর চাপে ইংল্যান্ড

বাবর আজমসহ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরটা দারুণ করে ইংল্যান্ড। সম্ভাবনা জাগায় কম রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার। তবে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে সফরকারীদের টানেন শান মাসুদ। আর শেষ সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে গেছে ইংল্যান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2020, 06:20 PM
Updated : 6 August 2020, 06:27 PM

৪ উইকেটে ৯২ রান নিয়ে ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। অলি পোপ ৪৬ ও জস বাটলার ১৫ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান করা পাকিস্তান এগিয়ে আছে ২৩৪ রানে।  

প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাঁহাতি এই পেসারের বলে এলবিডব্লিউয়ের সফল রিভিউ নিয়ে ররি বার্নসকে ফেরায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ আব্বাসের দারুণ দুই ডেলিভারিতে ফেরেন ডম সিবলি ও বেন স্টোকস।

দ্রুত ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান সিবলি। সুইং সামলাতে বেশ এগিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্টোকস। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানা এড়িয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার খুলতে পারেননি রানের খাতা।

শূন্য রানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া জো রুট বিদায় নেন থিতু হয়ে। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহর বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক।

শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী পোপ দারুণভাবে সামলেছেন সফরকারীদের বোলিং। মাঝে মধ্যে কিছুটা ঝুঁকিও নিয়েছেন তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিপার-ব্যাটসম্যান বাটলারকে নিয়ে সামাল দিয়েছেন শেষ বেলার চ্যালেঞ্জ।  

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃহস্পতিবার ২ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান শুরুতেই হারায় ব্যাটিং ভরসা বাবর আজমকে। আগের দিনের ৬৯ রানের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই জেমস অ্যান্ডারসনের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। সহায়ক কন্ডিশনে অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। নড়বড়ে আসাদ শফিককে দুই অঙ্কে যেতে দেননি ব্রড।

অনেকটা সময় ক্রিজে থাকলেও সেভাবে থিতু হতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪১ বলে ৯ রান করা কিপার ব্যাটসম্যানকে কট বিহাইন্ড করেন ক্রিস ওকস।

সকালে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানের ত্রাতা মাসুদ। আগের দিন শেষ বেলায় হঠাৎ করেই নড়বড়ে হয়ে যাওয়া ওপেনার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ৪৫ রানে সেদিন দুইবার জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে সঙ্গ দেন শাদাব খান।

পুরান বলে তাদের একদমই ভাবাতে পারেননি ইংলিশ পেসাররা। দ্বিতীয় নতুন বলেও মাসুদ-শাদাব ছিলেন সাবলীল। শাদাবের বাজে এক শটে ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। ডম বেসকে ওড়ানোর চেষ্টায় মিডঅফে ধরা পড়েন তিনি। তার ৭৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস গড়া তিনটি চারে।

শাদাব ছাড়া পাকিস্তানের শেষ সাত ব্যাটসম্যানের আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। শতরানের জুটি ভাঙার পর বেশিদূর এগোয়নি পাকিস্তানের ইনিংস।

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা মাসুদকে এলবিডব্লিউ করে থামান ব্রড। টেস্টে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এই ওপেনারের ৩১৯ বলে খেলা ১৫৬ রানের ইনিংসটি গড়া ১৮ চার ও দুই ছক্কায়। টেস্টে এটি তার সর্বোচ্চ, আগের সেরা ছিল গত বছর শ্রীলঙ্কায় বিপক্ষে করাচিতে করা ১৩৫। 

জফ্রা আর্চার ও ব্রড নেন তিনটি করে উইকেট। ওকস দুটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৩৯/২) ১০৯.৩ ওভারে ৩২৬ (মাসুদ ১৫৬, বাবর ৬৯, শফিক ৭, রিজওয়ান ৯, শাদাব ৪৫, ইয়াসির ৫, আব্বাস ০, আফ্রিদি ৯* নাসিম ০; অ্যান্ডারসন ১৯-৬-৬৩-১, ব্রড ২২.৩-৯-৫৪-৩, ওকস ২০-৬-৪৩-২, আর্চার ২২-৪-৫৯-৩, বেস ২০-৪-৭৪-১, রুট ৬-০-২৫-০)

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৮ ওভারে ৯২/৪ (বার্নস ৪, সিবলি ৮, রুট ১৪, স্টোকস ০, পোপ ৪৬*, বাটলার ১৫*; আফ্রিদি ৯-৪-১২-১, আব্বাস ৭-০-২৪-২, নাসিম ৫-২-১৮-০, ইয়াসির ৭-০-৩৬-১)