হোম সিরিজ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে না পাকিস্তান

ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো এখন নিজ দেশেই খেলতে চায় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই বছর পরের সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার পক্ষে নন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। ইংলিশদের পাকিস্তানে না যাওয়ার কোনো কারণও দেখছেন না তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2020, 04:38 PM
Updated : 6 August 2020, 05:03 PM

নিরাপত্তা শঙ্কায় ২০০৫ সালের পর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। এ সময়ে ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের দুটি হোম সিরিজ হয়েছিল আরব আমিরাতে। ২০২২ সালে আবারও দেশটির বিপক্ষে হোম সিরিজ রয়েছে তাদের। আর সেটি পাকিস্তানেই চান মানি, বিবিসির একটি আয়োজনে সাফ জানিয়ে দিলেন পিসিবি প্রধান।

“আমার মনে হয় না, ইংল্যান্ডের এখানে না আসার কোনো কারণ আছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এবার আমরা তৃতীয় কোনো দেশে খেলব না। হয় পাকিস্তানে খেলব, না হয় খেলবই না।”

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরের ৬ বছর পাকিস্তানে হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছিল দেশটিতে। পরের কয়েক বছরে আরও কয়েকটি দল পাকিস্তানে খেলেছিল সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট।

গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ১০ বছর পর দেশটিতে ফেরে লাল বলের ক্রিকেট। এরপর বাংলাদেশও টেস্ট খেলেছে সেখানে। কিছু দিন আগে কুমার সাঙ্গাকারার নেতৃত্বে খেলে এসেছে এমসিসির একটি দল। কিন্তু গত ১৫ বছরে ইংল্যান্ড একবারও পাকিস্তানে যায়নি।

মানির মতে, আগের মতো পাকিস্তানে এখন আর নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। ইংল্যান্ডের সফরের সময়ের আগে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস সাবেক আইসিসি প্রেসিডেন্টের।

“পাকিস্তান নিরাপদ। এর মধ্যে যে দলগুলো এখানে খেলে গেছে, আমরা তাদের জন্য খুবই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি, ঠিক যেমন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য থাকে।”

“এমসিসি দল আসার পর তারা বাইরে গিয়ে গলফ খেলতেও চেয়েছিল। তারা বাইরে ঘুরতে ও রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড আসার আগে আমাদের হাতে দুই বছর আছে। আশা করি, ততদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং চলাফেরায় আরও স্বাধীনতা থাকবে।”  

২০২২ সালের আগে ইংল্যান্ড জাতীয় দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে কিংবা ইংল্যান্ড লায়ন্স (যুব দল) সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তানে আসুক, চায় পিসিবি। ইংল্যান্ডের কোচ ক্রিস সিলভারউডও পাকিস্তান সফরের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত তার দল।