‘কোহলি হলে অনেক আলোচনা হতো, বাবর বলেই নেই’

বাবর আজমের যা সামর্থ্য ও পারফরম্যান্স, সে অনুযায়ী প্রাপ্য কৃতিত্ব তিনি পান না বলে মনে করেন নাসের হুসেইন। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকারের মতে, বিরাট কোহলি যদি বাবরের মতো খেলতেন, তাহলে ঠিকই আলোচনার ঝড় উঠত তাকে নিয়ে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2020, 05:18 AM
Updated : 6 August 2020, 08:24 AM

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে বুধবার যখন স্ট্রোকের দ্যুতিতে মাতাচ্ছেন বাবর, স্কাই স্পোর্টসে তখন এই মন্তব্য করলেন হুসেইন।

পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দিয়ে অবশ্য বাবর আলোচনায় থাকছেন নিয়মিতই। তাকে কোহলি, স্টিভেন স্মিথদের উচ্চতায় রাখার প্রসঙ্গও উঠে আসছে বারবার। কোহলি, স্মিথের সঙ্গে কেন উইলিয়ামসন ও জো রুটকে মিলিয়ে বলা হয় ‘ফ্যাবুলাস ফোর’, সময়ের সেরা চার ব্যাটসম্যান।

হুসেইনের কোনো সংশয় নেই, একই উচ্চতায় এখন বাবরকেও রাখতে হবে।

“ এই ছেলেটি যদি কোহলি হতো, সবাই তাকে নিয়ে কথা বলত। কিন্তু যেহেতু সে বাবর আজম, কেউ কিছু বলছে না। ২০১৮ সাল থেকে টেস্টে তার গড় ৬৮, ওয়ানডেতে ৫৫।”

“ সে তরুণ বয়সী, খুবই নান্দনিক ব্যাটসম্যান ও নিজের পারফরম্যান্সে গর্ব খুঁজে নেয়। লোকে ‘ফ্যাব ফোর’ নিয়ে কথা বলে, কিন্তু এখন তা ‘ফ্যাব ফাইভ’, বাবরও সেখানে আছে।”

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাবর দুর্দান্ত। ৭৪ ওয়ানডে খেলেই ১১ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, ব্যাটিং গড় ৫৪.১৭। টি-টোয়েন্টিতেও অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে রান করে চলেছেন পঞ্চাশের বেশি গড়ে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে অনেক দিন থেকেই তিনি আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। ওয়ানডেতে এখন আছেন তিন নম্বরে।

টেস্টে অবশ্য ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পারফরম্যান্স এতটা ভালো ছিল না। বরং ধারাবাহিকতার অভাব ছিল স্পষ্ট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে কঠিনতম সংস্করণেও হয়ে উঠেছেন দুদান্ত পারফর্মার। হুসেইন যে সময়ের কথা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে চলতি টেস্টের প্রথম দিন পর্যন্ত, ১৬ টেস্টে বাবরের গড় ৬৮.৭৬। এই সময়টায় স্মিথের গড় ৫৯.৬৬, কোহলির ৫৩.২৯। আর বড় ইনিংসের ধারাবাহিকতার অভাবে রুট এই সময়টায় পিছিয়ে পড়েছেন অনেক, গড় কেবল ৪০.১৬।

হুসেইনের মতে, পাকিস্তানের ক্রিকেটার বলেই আড়ালে থেকে যাচ্ছেন বাবর।

“এটি খুবই দুঃখজনক। অনেক কিছুর ফল এটি। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে খেলতে বাধ্য হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফাঁকা মাঠে খেলছে, ভারতীয় ক্রিকেটের ছায়ায় পড়ে থাকছে, আইপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারছে না, সবকিছু মিলিয়েই এটা হচ্ছে। ”