গত ১৬ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গাজী ক্রিকেটার্সের হয়ে খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এক রাউন্ড খেলা হয়েই করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে আছে লিগ। মাহমুদউল্লাহ আর ওমুখো হননি একবারও। লম্বা বিরতির পর অবশেষে বুধবার আবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গেলেন তিনি।
ঈদের পর বিসিবির তত্ত্বাবধানে ক্রিকেটাদের একক অনুশীলন আবার শুরু হওয়ার কথা শনিবার থেকে। তবে মাহমুদউল্লাহ শুরু করলেন আগেই, ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সঙ্গে ছিল না কোনো ট্রেনার। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোনালেন দীর্ঘদিন পর ফেরার অভিজ্ঞতা।
“আজকে মাঠে ঢোকার পর সবকিছু কেমন যেন নতুন লাগল। চারপাশে তাকালাম, গ্যালারি, মাঠ সবকিছু দেখে আরও ভালোভাবে বুঝলাম যে কতটা মিস করেছি। ঘাস ছুঁয়ে দেখলাম, বসে থাকলাম। এখানকার সবকিছুই তো আমাদের চেনা। তারপরও মনে হচ্ছিল যেন নতুন দেখছি সব।”
ঈদের আগে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে একক অনুশীলনে তিনি ছিলেন না। তবে জানালেন, যোগ দেবেন শনিবার থেকে। তার আগে নিজের অবস্থা একটু পরখ করে নিলেন।
“আজকে রানিং করলাম একটু। দশটা চক্কর দিলাম মাঠে। আরও কিছু কাজ করলাম। এরপর হালকা নকও করেছি। ভালোই লাগল অনেক দিন পর এসব করে। মাঠের আবহই অন্যরকম, ঘরে তো এই স্বাদ পাওয়া যায় না। অফিসিয়ালি নয়, আজকে স্রেফ নিজের উদ্যোগেই করলাম। শনিবার থেকে অফিসিয়ালি জয়েন করব আশা করি।”
“এই কমাসে চেষ্টা করেছি ফিটনেস যতটা পারা যায়, ধরে রাখতে। তবে বাসায় ট্রেডমিলে দৌড়ানো আর মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য অনেক। শুধু পরিবেশের কারণেই নয়, শারীরিক ব্যাপারও আছে। ট্রেডমিলে দৌড়ালে শরীরের ফোর্স লাগে না, কিন্তু মাঠে নিজেকেই টানতে হয় শরীর। আরও অনেক কিছু আছে। তবে খুব জটিল কিছু নয়, সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।”