মূলত জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উদ্যোগেই ছিল এই আয়োজন। বাংলাদেশ দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দলের বাইরে থাকা বা উঠতি ক্রিকেটার যারা আছেন দলের আশেপাশে, সব মিলিয়ে ৩০-৩২ জন ক্রিকেটার ছিলেন কার্স্টেনের এই সেশনে। ছিলেন কোচিং স্টাফের সদস্যরাও।
কার্স্টেনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্য। বর্ণবাদের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর প্রায় এক যুগ দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারের ভরসা ছিলেন তিনি। খেলেছেন ১০১ টেস্ট ও ১৮৫ ওয়ানডে। রেকর্ড দারুণ সমৃদ্ধ, পরিচিত ছিলেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার ওপেনার হিসেবে।
খেলা ছাড়ার পর নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়েছেন কোচ হিসেবে। তার কোচিংয়েই ভারত প্রথমবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার স্বাদ পায় ২০১০ সালে, পরের বছর জেতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পরে দায়িত্ব নেন নিজ দেশের কোচ হিসেবে। সেখানেও তার সময়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই দারুণ সফল একজনকে পেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কৌতূহল ছিল অনেক। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু বিস্তারিত খোলাসা করতে চাননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে সভায় উপস্থিত কয়েকজন জানালেন, কার্স্টেন নিজে থেকে যেমন বলেছেন অনেক কিছু, তেমনি ক্রিকেটারদের প্রশ্ন ছিল অনেক। কখনও খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে, কখনও কোচ হিসেবে ভাবনা ও অভিজ্ঞতা থেকে সবার জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের বিশ্বাস, এই সেশন থেকে উপকৃত হবেন ক্রিকেটাররা।
“আমরা এর আগেও কয়েকটি অনলাইন সেশনের আয়োজন করেছি, আমাদের কোচিং স্টাফরা ছিল সেখানে। এবার একটু ভিন্ন স্বাদ পেল সবাই। কার্স্টেনের মতো অভিজ্ঞ ও নামী একজনকে পাওয়া ছেলেদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার আমি বলব। আশা করি, সবাই কিছুটা হলেও জানতে ও শিখতে পেরেছে, যা তাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।”