আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শনিবার ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ২১৩। ওপেনিংয়ে বেয়ারস্টোর ৪১ বলে ৮২ রানের ইনিংস দলকে এগিয়ে নেয় দ্রততায়। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় এরপর চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত স্যাম বিলিংস (৪৬*) ও ডেভিড উইলির (৪৭*) অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে (৭৯ রানের) ইংলিশরা জিতেছে ৪ উইকেটে।
দুর্দান্ত ইনিংসটির পথে বেয়ারস্টো ফিফটি ছুঁয়েছেন মাত্র ২১ বলে। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে ফিফটির রেকর্ডে স্পর্শ করেছেন ওয়েন মর্গ্যানকে।
পাশাপাশি এ দিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেয়ারস্টো পূর্ণ করেছেন ৩ হাজার রান। ৭২ ইনিংস লেগেছে তার এই মাইলফলক ছুঁতে। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রানের কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন জো রুটের পাশে।
রঙিন পোশাকে ঝলমলে ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে বেয়ারস্টো জানালেন, সাদা পোশাকে জায়গা ফিরে পেতে তিনি মরিয়া।
“টেস্ট দলে আবার জায়গা পাওয়াই আমার সত্যিকারের লক্ষ্য। একমাত্র প্রচুর রান করেই সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। এই ওয়ানডে সিরিজ থেকে শুরু করে রানের ধারা ধরে রাখতে হবে। এই সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাঝে ইয়র্কশায়ারের হয়ে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলব। আশা করি, টেস্ট দলের বিবেচনায় ফেরার লড়াই এখান থেকেই শুরু হলো।”
গত বছরের অ্যাশেজ পর্যন্ত টেস্ট দলেও নিয়মিত ছিলেন বেয়ারস্টো। তবে টানা রান খরায় বাদ পড়ে যান, শুরুতে একাদশ থেকে, এরপর স্কোয়াড থেকেই। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩ টেস্টে ফিফটি করতে পেরেছিলেন একটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে করেন জোড়াশূন্য। এরপর অ্যাশেজে ৫ টেস্টে কেবল একটি ফিফটির পর হারান জায়গা।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অলিভার পোপের চোটের কারণে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন বক্সিং ডে টেস্টে। কাজে লাগাতে পারেননি সেটিও। আপাতত তাই তিনি টেস্টে বিবেচনার বাইরে।
৭০ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান এখন প্রতিটি সুযোগে রান করে আবার টোকা দিতে চান টেস্ট দলের দুয়ারে।
“এবার ক্যাম্পের আগে টেস্ট ক্রিকেট ও লাল বলের খেলা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন সাদা বলের সিরিজে খেলছি। এরপর ইয়র্কশায়ারে ফিরে চারদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্টে খেলব। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আবার বিবেচনায় ফিরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।”
“আপাতত আমার মনোযোগ কেবল রান করায়, যত বেশি সম্ভব করা যায়। এরপর যা হওয়ার হবে। স্রেফ নিজের খেলায় মন দিচ্ছি, খুব বেশি দূর তাকাচ্ছি না।”