চলতি বছরের শুরুতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে সফরকারীরা হোয়াইটওয়াশড হলেও দারুণ সফল ছিলেন ওয়্যাগনার। বাঁহাতি এই পেসার ২২.৭৬ গড়ে নেন ১৭ উইকেট। দলের বাকিরা ৫৩.৩৯ গড়ে নিয়েছিলেন ২৮ উইকেট।
ওয়্যাগনারের বাউন্সারে বেশি ভুগেছিলেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন। এই তিন জনকে সব মিলিয়ে সিরিজে ১০ বার আউট করেন সফরকারী পেসার।
২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রথমবার সিরিজ জিতে এসেছিল ভারত। সেই সিরিজে অবশ্য ছিলেন না ওয়ার্নার, স্মিথ। চলতি বছরের শেষদিকে হতে যাওয়া সিরিজে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে তারা। আর তাদের বিরুদ্ধে ‘ওয়্যাগনার কৌশল’ ব্যবহারের কথা ভাবার সম্ভাবনা বেশি ভারতীয় পেসারদের।
“অস্ট্রেলিয়া সফরে অন্যান্য দল সম্ভবত এটির (বাউন্সার) চেষ্টা করবে, কিন্তু...সে (নিল ওয়্যাগনার) যেভাবে বাউন্সার দিয়েছে, যেমন ধারাবাহিক ছিল, রান দেয়নি আবার উইকেটও নিয়েছে, আমি মনে করি না, এমনটা আর কেউ করতে পেরেছে।”
“ভারতীয়দের থেকেও হয়তো কিছুটা এমন বোলিং দেখব আমরা, তবে ওয়্যাগনারের মতো এতোটা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না। সে লম্বা সময় ধরে এমন বোলিং করে আসছে...সত্যি কথা বলতে আমি কখনো এমন বোলারের মুখোমুখি হইনি, যার বাউন্সার এতো নিখুঁত।”
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ টেস্ট খেলেছেন ওয়্যাগনার। উইকেট নিয়েছেন ২০৬টি। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি।