২০১৫ সালে বাংলাদেশে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল সেটি। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৩ ওভার শেষে বাইরে যান ভারতীয় অধিনায়ক ও কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখন কিপিং করেন সেই সময়ের সহ-অধিনায়ক কোহলি।
আগের ওভারেই বোলিং করেছিলেন কোহলি। ধোনি বাইরে যাওয়ার পর কিপিং প্যাড না পরেই স্রেফ কিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে যান তিনি। বোলার ছিলেন পেসার উমেশ যাদব।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ওপেনার মায়াঙ্কা আগারওয়ালের সঙ্গে কোহলির আড্ডায় উঠে এলো সেই প্রসঙ্গ। কিপিং গ্লাভস পরা কোহলির ছবি দেখিয়ে মায়াঙ্ক জানতে চাইলেন, ‘ঘটনা কি হয়েছিল?’ কোহলি হাসতে হাসতে দিলেন উত্তর।
“ ঘটনা কি ছিল, সেটা তো মাহি ভাইকে জিজ্ঞেস করতে হবে! মাহি ভাই বলেছিলেন, দুই-তিন ওভার কিপিং করতে, এটিই ঘটনা। কিপিং করছিলাম এবং ফিল্ডিংও সাজাচ্ছিলাম। তখন বুঝেছি, তাকে কতটা কঠিন কাজ করতে হয়। কিপিংয়ে প্রতিটি বলে মনোযোগ দিতে হয়, পাশাপাশি ফিল্ডিং সাজানো ও অন্যান্য কিছুও করতে হয়।”
২-৩ ওভার অবশ্য লাগেনি। ওই ওভারে সাকিব আল হাসাকে আউট করেন যাদব। তাতে কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়। ওই ওভার শেষেই আবার মাঠে ফেরেন ধোনি।
তবে কোহলি জানালেন, এক ওভারেই বুঝে গিয়েছিলেন, কিপিং করা কত কঠিন।
“ সব মিলিয়ে মজাই লেগেছে। তবে যেটা মজার ছিল না, তা হলো, ৪৩ ওভারে কিপিং গ্লাভস নিয়েছিলাম আমি। উমেশ (যাদব) বোলিং করছিল, বল ছিল পুরোনো। ফ্লাড লাইটে খেলা হচ্ছিল। বল দেখা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। কেবলই মনে হচ্ছিল, বল না এসে আমার নাকে লাগে!”
“ ইচ্ছে করছিল, হেলমেট পরে কিপিং করি। কিন্তু এত পেছনে দাঁড়িয়ে হেলমেট পরে কিপিং করলে বেইজ্জতি হতে হতো! এজন্য গভীর মনোযোগ দিতে হয়েছিল আমাকে। সব মিলিয়ে মজাই ছিল। ভিন্ন কিছু করতে পারা ছিল দারুণ।”