ব্রডের আঘাতে এলোমেলো উইন্ডিজ

সকালে ৪ উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিলেন ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস। শেষ বেলায় ২ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও নাড়িয়ে দিলেন সফরকারীদের। স্টুয়ার্ট ব্রডের দারুণ বোলিংয়ে তৃতীয় টেস্টে জয়ের পথে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2020, 05:55 PM
Updated : 26 July 2020, 06:32 PM

ম্যানচেস্টারে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০ রান। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ২ ও শেই হোপ ৪ রানে ব্যাট করছেন।

জয়ের জন্য শেষ দুই দিনে সফরকারীদের ৮ উইকেট চাই ইংল্যান্ডের। জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই আরও ৩৮৯ রান।  

প্রথম ইনিংসের মতো এবারও নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পান ব্রড। আগেরবার ফিরিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েটকে, এবার তার শিকার জন ক্যাম্পবেল। পরে নাইটওয়াচম্যান কেমার রোচকে কট বিহাইন্ড করে ইংলিশ পেসার পৌঁছে যান মাইলফলকের দোরগোড়ায়।

সারা দিনে ৬ উইকেট নেওয়া এই পেসার চতুর্থ দিন শুরু করবেন ৪৯৯ উইকেট নিয়ে। ক্যারিবিয়ানদের সামনে ম্যাচ বাঁচানোর কঠিন লড়াই।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার ৬ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১৯৭ রানে।

ফলোঅন এড়ানোর কাজটা ভালোভাবেই সারেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জেসন হোল্ডার ও শেন ডাওরিচ। ফিফটির পথে এগোনো হোল্ডারকে এলবিডব্লিউ করে ক্যারিবিয়ানদের একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি ভাঙেন ব্রড। পরের তিনটি উইকেটও নেন তিনি।

সপ্তম উইকেটে ৬৮ রানের জুটি ভাঙার পর তেমন একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাকিম কনওয়ালকে দ্রুত ফেরানোর পর রোচকে শূন্য রানে বিদায় করে ক্যারিয়ারে ১৮তম পাঁচ উইকেটের দেখা পান ব্রড।

এক প্রান্ত আগলে রাখা ডাওরিচের প্রতিরোধ ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইশ রানের আগেই থামান এই পেসার। ৩১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে তিনিই স্বাগতিকদের সেরা বোলার।

১৭২ রানের বড় লিড পাওয়া ইংল্যান্ড শুরুটা ভালো করে ররি বার্নস ও ডম সিবলির ব্যাটে। ২০১৬ সালের পর ঘরের মাঠে ইংলিশদের প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন তারা।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছোঁয়ার পর সিবলি এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে ১১৪ রানের জুটি। ৭ চারে ৫৬ রান করেন এই ওপেনার।

ক্রিজে গিয়েই শট খেলতে শুরু করেন জো রুট। রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন বার্নসও। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী দুই দিন বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। কাজ এগিয়ে রাখতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন তারা।

বড় শটের চেষ্টাতেই থামেন বার্নস। রোস্টন চেইসকে স্লগ সুইপ করে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। ১৬৩ বলে খেলা তার ৯০ রানের ইনিংস গড়া ১০ চারে।

২ উইকেটে ২২৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করার সময় অধিনায়ক রুট খেলছিলেন ৬৮ রানে। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে খেলা তার ৫৬ বলের ইনিংসে আট চারের পাশে একটি ছক্কা।     

দেরিতে সুইং করা একটি বল মুখে আঘাত হানলে সপ্তম ওভারের মাঝপথে মাঠ ছাড়েন নিয়মিত কিপার ডাওরিচ। ইনিংসের বাকি অংশ আর মাঠে ফিরেননি তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৬৯

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ১৩৭/৬) ৬৫ ওভারে ১৯৭ (হোল্ডার ৪৬, ডাওরিচ ৩৭, কর্নওয়াল ১০, রোচ ০, গ্যাব্রিয়েল ০; অ্যান্ডারসন ১৬-৫-২৮-২, ব্রড ১৪-৪-৩১-৬, আর্চার ১৭-১-৭২-১, ওকস ১৮-১-৫৭-১)

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৫৮ ওভারে ২২৬/২ ইনিংস ঘোষণা (বার্নস ৯০, সিবলি ৫৬, রুট ৬৮*, রোচ ১১-৪-৩৪-০, গ্যাব্রিয়েল ৫-০-১৯-০, হোল্ডার ৯-২-২৪-১, চেইস ১৪-২-৬১-১, কর্নওয়াল ১৯-২-৭৯-০)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৯) ৬ ওভারে ১০/২ (ব্র্যাথওয়েট ২*, ক্যাম্পবেল ০, রোচ ৪, হোপ ৪*; অ্যান্ডারসন ৩-২-২-০, ব্রড ৩-১-৮-২)