নিউ জিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প হয়ে গেল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল স্টেডিয়ামে। সেখানেই কোচ ও অধিনায়ককে আলাদা করে কথা বলতে হলো শীতল সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে।
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজে ৩-০তে হেরে এসেছে নিউ জিল্যান্ড। এরপর গত মে মাস থেকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন, উইলিয়ামসনের জায়গায় ল্যাথামকে টেস্ট অধিনায়ক চান কোচ। অস্ট্রেলিয়ায় ওই সিরিজে শেষ টেস্টে উইলিয়ামসনের চোটের কারণে খেলতে না পারায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ল্যাথাম। এছাড়াও এই কিপার-ব্যাটসম্যান ১০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন নানা সময়ে উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে।
তবে শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে স্টেড বললেন. এসব খবর ভিত্তিহীন।
“ কেন (উইলিয়ামসন) এবং আমার সম্পর্ক যথেষ্টই মজবুত এবং এটি নিয়ে আমরা কথাও বলেছি। এসবের কোনো সত্যতা নেই এবং হতাশাজনক ব্যাপার হলো, এগুলো কোনো জায়গা থেকে বা কারও মাধ্যমে ছড়িয়েছে, কিন্তু কেন বা আমার মাধ্যমে নয়।”
“ কেনের সঙ্গে কাজ করতে আমি সত্যিই উপভোগ করছি। আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর আলোচনাই হয় এবং সবসময়ই মুখ্য থাকে, দলের জন্য সেরা কোনটি। আমাদের ভাবনাজুড়ে সত্যি এসবই আছে। এটা যে কোনো ক্ষেত্রের মতোই, ইতিবাচক মতবিরোধ থাকেই, এটা না থাকলেই বরং তা দুর্ভাবনার।”
কোচের দিন দুয়েক আগে একই প্রশ্ন করা হয়েছিল অধিনায়ককে। উইলিয়ামসনের কণ্ঠেও ছিল একইরকম সুর।
“ গ্যারি ও আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। পরস্পরের প্রতি আমরা বরাবরই সৎ এবং খেলা নিয়ে নিজেদের ভাবনা দিয়ে পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সবসময়ই আগ্রহী। দিনশেষে আমরা দুজনই একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি যে দলকে কোথায় দেখতে চাই। লক্ষ্যে কীভাবে পৌঁছতে পারি, এটা নিয়ে তো যে কোনো সংস্থায়ই সবসময় আলোচনা চলে। খোলামেলা আলোচনা করতে পারি বলে আমরা খুশি।”
২০১৮ সালের অগাস্টে মাইক হেসন আচমকা দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচ হিসেবে নিয়োগ পান স্টেড। সাবেক এই ব্যাটসম্যানের কোচিংয়ে দল খুব খারাপ করেনি। ১৬ টেস্টের ৯টিতে জিতেছে তারা, হেরেছে ৫টি। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে ২ নম্বরে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়েছে রানার্স আপ।
চুক্তি অনুযায়ী তার দায়িত্বের মেয়াদ এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেছে বিশ্বকাপ। স্টেডের দায়িত্বের মেয়াদও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।