ব্রড ঝড়ের পর বিপদে উইন্ডিজ

দিনের শুরুতে দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় নতুন বলে কাঁপিয়ে দেয় ইংলিশদের। দিক হারা দলকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টানেন স্টুয়ার্ট ব্রড। পরে বোলিংয়েও রাখেন অবদান। সঙ্গে অন্যরাও এগিয়ে আসায় ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করেছে ইংল্যান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2020, 05:20 PM
Updated : 25 July 2020, 06:09 PM

ম্যানচেস্টারে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৭ রান। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ২৪ ও কিপার-ব্যাটসম্যান শেন ডাওরিচ ১০ রানে ব্যাট করছেন।

প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করা ইংল্যান্ড এখনও ২৩২ রানে এগিয়ে। ফলোঅন এড়ানোর কঠিন লড়াই হোল্ডার-ডাওরিচদের সামনে।

আগের দিন ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিল প্রথম ওভারে। শনিবার ক্যারিবিয়ানদের শুরুর জুটি ভাঙে দ্বিতীয় ওভারে। ব্রডের বলে স্লিপে ধরা পড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

১০ রানে জীবন পাওয়া আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ফেরেন থিতু হয়ে। জফ্রা আর্চারের বাউন্সারে গালিতে দেন সহজ ক্যাচ।

নিজেকে খুঁজে ফেরা শেই হোপ কাটিয়ে দিয়েছিলেন কঠিন সময়। ফিরে পাচ্ছিলেন আত্মবিশ্বাস। এমন সময়ে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তাকে কট বিহাইন্ড করেন জেমস অ্যান্ডারসন। অভিজ্ঞ এই পেসার পরে বিদায় করেন শামার ব্রুকসকে। ব্রডের দ্বিতীয় শিকার রোস্টন চেইস।

৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও হোল্ডার। চমৎকার এক ডেলিভারিতে ব্ল্যাকউডকে বোল্ড করে সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙেন ক্রিস ওকস।

এই মাঠে আগের ম্যাচের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে ফেরা ডাওরিচ খেলছেন আস্থার সঙ্গে। তৃতীয় টেস্টে ভালো একটা অবস্থানে যেতে হোল্ডারের সঙ্গে তার জুটির দিকে তাকিয়ে সফরকারীরা।

অ্যান্ডারসন ও ব্রড নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। দুই পেসারই দিয়েছেন ১৭ রান করে।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড সাত সকালে পড়ে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচের তোপের মুখে। ২২ রান যোগ করতেই হারায় ৪ উইকেট।

গ্যাব্রিয়েলের বলে স্লিপে রাকিম কর্নওয়ালের হাতে জীবন পেয়েও ইনিংস আর বড় করতে পারেননি অলি পোপ। ফিরে যান গ্যাব্রিয়েলেরই দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে। আগের দিনের ৯১ রানের সঙ্গে যোগ করতে পারেননি কিছুই।

ওকসকে বোল্ড করে টেস্টে দুইশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোচ। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে দ্রুত ফেরান গ্যাব্রিয়েল।

রোচকে খোঁচা মেরে স্লিপে আর্চার ধরা পড়লে ক্রিজে আসেন ব্রড। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত তুলতে থাকেন রান। সব বল যে মাঝ ব্যাটে খেলতে পেরেছেন এমন না। ভাগ্য ছিল সঙ্গে, ব্যাটের কানায় লেগেও পেয়েছেন বেশ কিছু বাউন্ডারি।

এক সময়ে যেখানে তিনশ ছোঁয়া নিয়েই ছিল সংশয়, ব্রডের ঝড়ে সেখানে ইংল্যান্ড ছোটে চারশ রানের দিকে। ১০ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান ৩৩ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি, টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম। এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি, চেইসকে ওড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন ব্ল্যাকউডের হাতে।

৪৫ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করেন ব্রড। শেষের দিকে মূল্যবান কিছু রান যোগ করেন ডম বেস ও অ্যান্ডারসন।

৭২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার রোচ। গ্যাব্রিয়েল ও চেইস নেন দুটি করে উইকেট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১১১.৫ ওভারে ৩৬৯ (আগের দিন ২৫৮/৪) (পোপ ৯১, বাটলার ৬৭, ওকস ১, বেস ১৮*, আর্চার ৩, ব্রড ৬২, অ্যান্ডারসন ১১; রোচ ২৫.৪-৪-৭২-৪, গ্যাব্রিয়েল ২৩.২-৪-৭৭-২, হোল্ডার ২৪.৫-৫-৮৩-১, কর্নওয়াল ২৭-৫-৮৫-০, চেইস ১১-৩-৩৬-২)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৭.১ ওভারে ১৩৭/৬ (ব্র্যাথওয়েট ১, ক্যাম্পবেল ৩২, হোপ ১৭, ব্রুকস ৪, চেইস ৯, ব্ল্যাকউড ২৬, হোল্ডার ২৪*, ডাওরিচ ১০*; অ্যান্ডারসন ১১-৪-১৭-২, ব্রড ১০-৩-১৭-২, আর্চার ১৩.১-১-৫৫-১, ওকস ১৩-১-৩৯-১)