স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেই বেশি খুশি তাসকিন

মন পড়ে ছিল মিরপুরে। কত দিন স্টেডিয়ামে যাওয়া হয় না। অবশেষে ফুরালো তাসকিন আহমেদের অপেক্ষা। প্রিয় আঙিনায় একক অনুশীলন শুরু করেছেন তরুণ এই পেসার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2020, 12:26 PM
Updated : 23 July 2020, 12:26 PM

বিসিবির তত্ত্বাবধানে দেশের চারটি মাঠে একক অনুশীলন করছেন ১১ ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের এলেন তাসকিন। মাঠে রানিং শুরু করার চেয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাঠে আসতে পারাটাকেই বড় করে দেখছেন ২৫ বছর বয়সী এই পেসার।

“অনেক ভালো লাগছে। কারণ, এতদিন পরে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারলাম। অবশ্যই রানিং করে ভালো লাগছে কিন্তু এর চেয়েও বেশি ভালো লাগছে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেছি বলে। ড্রেসিং রুমে এতদিন পর ঢোকা...আসলেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।”

“বাসায় থেকে যতটুকু পেরেছি অনুশীলন করেছি, কিন্তু মিরপুরে স্টেডিয়ামে আসার সুযোগ হয়নি। আজকে যখন প্রায় ৫ মাস পর মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকলাম খুব স্বস্তি লাগছে।”

ফিটনেস ধরে রাখতে নিজের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাসকিন। জিমে সময় কাটাচ্ছেন, বাসায় বোলিং অনুশীলন করছেন। কিন্তু এরপরও যেন হাঁপিয়ে উঠছেন। মাঠে ফিরতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

“একজন খেলোয়াড় হিসেবে অনেকদিন খেলতে না পারা, ঘরে থাকা মানে...একঘেয়েমি চলে আসছিল। আমার কাজই খেলাধুলা কিন্তু আমি খেলতে পারছি না। অনেকেরই নিজেদের চাকরি শুরু হয়েছে, বিভিন্ন কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু আমার খেলাই বন্ধ; তো অবশ্যই খারাপ লাগছে। যত দ্রুত খেলায় ফেরা যায় আর দেশে পরিস্থিতিও যেন ভালো হয় সেই কামনা করছি।”

“অনুশীলনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তো বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করার জন্য যে যেমন চেয়েছে সাইকেল, ওয়েট সরঞ্জাম তাদের বাসায় পাঠানো হয়েছে। তো এটার জন্যও অসংখ্য ধন্যবাদ। তো বিসিবি তাদের তরফ থেকে যতটুকু পারছে করছে। এখন শুধু আমাদের সাবধানতা মেনে চলা দরকার। আমি নিশ্চিত সবাই এটা করছে।”