ব্যাটে-বলে ক্রমেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন স্টোকস। ভালো খেলার পরিষ্কার একটা চিত্র মিলছে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটিংয়ে আছেন তিনে, অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের নায়ক স্টোকস। প্রথম ইনিংসে দলকে বড় একটা সংগ্রহ এনে দিতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে করেন ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরি। ২৫৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অসাধারণ ইনিংস শেষ হয় ১৭৬ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সেই স্টোকসই অন্য রূপে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন ছিল দ্রুত রান তোলা। ১০ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমে উপহার দেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। তার ৫৭ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সৌজন্যেই দ্রুত ইনিংস ঘোষণা করে বোলারদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে ইংল্যান্ড। পরে ১১৩ রানে ম্যাচ জিতে স্বাগতিকরা।
মাঠে যেন ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাণশক্তির উৎস। সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার কথা বলার সময় অ্যান্ডারসন জানান, সঙ্গে খেলেছেন এমন অলরাউন্ডারদের মধ্যে তার চোখে সেরা স্টোকস।
“আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে উঠছে সে। তার এভাবে চালিয়ে না যাওয়ার এবং আরও ভালো না হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এটি অবিশ্বাস্য যে, আমরা তাকে আমাদের দলে পেয়েছি এবং এটি দেখা আনন্দের।”
“সবশেষ ম্যাচে প্রায় সবই সে করেছে। বোলিং করে নিজেই বলের পেছনে দৌড়েছে, আমাদের দুই ইনিংসের বেশিরভাগ সময় সে ব্যাটিং করেছে। উইকেটও নিয়েছে... আমাদের তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং ওর থেকে যতদিন সম্ভব সেরাটা পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।”
স্টোকসের এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে তার বন্দনা করেছিলেন জো রুটও। ইংল্যান্ড অধিনায়ক তাকে উপাধি দেন ‘মিস্টার ইনক্রেডিবল।’ বলেছেন, স্টোকসের সামর্থ্যের সীমানা কেবলই আকাশ। টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেসার অ্যান্ডারসন তো প্রশংসা করার ভাষাই হারিয়ে ফেলছেন।
“সে কেমন ভালো, এটা বলা কঠিন। কারণ, বর্ণনার জন্য ভাষা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। সেদিন দেখলাম জো বলছে, আমরা গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলছি এবং একদম ঠিক বলেছে।”
“সে নির্দ্বিধায় যেকোনো দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে। যতবার সে মাঠে নামছে তার বোলিং ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছে। অনেক দলের বোলিং আক্রমণেও সে জায়গা পেতে পারে। আমাদের দলে এমন একজন প্রতিভাকে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। কাছ থেকে তাকে দেখতে পারাও দারুণ।”