২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে খেলার সময় স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন আমির। শাস্তি কাটিয়ে ২০১৬ সালের শুরুতে ফেরেন জাতীয় দলে। এরপর থেকে তিন সংস্করণে খেলেন নিয়মিত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে গত বছরের জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই ফাস্ট বোলার।
সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার আতিক-উজ-জামানের সঙ্গে সোমবার ইউটিউব আলাপচারিতায় আমির জানান, ফেরার পর আরেকটু বেছে খেলা প্রয়োজন ছিল তার।
“জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর তিন সংস্করণে খেলে বড় ভুল করেছি। ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের একই ভুল না করার পরামর্শ দিতে চাই। প্রত্যেকেরই উচিত প্রথমে একটি-দুটি সংস্করণে খেলে নিজেদের সীমা পরীক্ষা করা ও ভালো ছন্দ খুঁজে পাওয়া। যদি তাদের মনে হয় তারা পারবে, তবেই কেবল তাদের তৃতীয় সংস্করণে খেলা উচিত।”
পেসারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। তাই তাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন আমির। একই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার পাঁচ-ছয় বছর দীর্ঘায়িত করার আশাবাদ জানান ২৮ বছর বয়সী এই পেসার।
“পেসারদের আরও সতর্ক হতে হবে। সব সংস্করণে ফেরার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুই বছর পর আমার সমস্যা হয়েছিল। ২০১৮ সালে আমি চোটে পড়ি। এই কারণে আমি নিজেকে সাদা বলের ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি। আশা করি, আমার ক্যারিয়ার পাঁচ থেকে ছয় বছর দীর্ঘায়িত করতে পারব।”
পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্টে আমির নিয়েছেন ১১৯ উইকেট। এখন পর্যন্ত ৬১ ওয়ানডেতে তার উইকেট ৮১টি, ৪৮ টি-টোয়েন্টিতে ৫৯টি।