ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের পারফরম্যান্সে হোল্ডারকে পেছনে ফেলেছেন স্টোকস। ২০০৬ সালের মে মাসে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ শীর্ষে ওঠার পর এই প্রথম টেস্টে এক নম্বর অলরাউন্ডার হলেন কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার।
সোমবার শেষ হওয়া টেস্টে ১৭৬ ও অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন স্টোকস, উইকেট নিয়েছেন দুই ইনিংসে তিনটি। এই পারফরম্যান্সে এক টেস্টেই পেয়েছেন ৬৬ রেটিং পয়েন্ট। এই টেস্ট শুরুর আগে হোল্ডারের চেয়ে তিনি পিছিয়ে ছিলেন ৫৪ রেটিং পয়েন্টে। এখন এগিয়ে গেছেন ৩৮ পয়েন্টে!
ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে ব্যাটে-বলে ভালো করতে না পারায় হোল্ডার হারিয়েছেন ২৬ রেটিং পয়েন্ট। ৪৫৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন তিনি দুইয়ে। ৩৯৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রবীন্দ্র জাদেজা।
ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে স্টোকস এগিয়েছেন ৬ ধাপ। অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে এখন তিনি যৌথভাবে তিনে। র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের মতো ৮২৭ রেটিং পয়েন্টও ব্যাটিংয়ে স্টোকসের ক্যারিয়ার সেরা। শীর্ষ দুইয়ে আগের মতোই আছেন স্টিভ স্মিথ ও বিরাট কোহলি।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২০ রানের ইনিংস খেলে ইংলিশ ওপেনার ডমিনিক সিবলি এগিয়েছেন ২৯ ধাপ। ক্যারিয়ার সেরা ৩৫ নম্বরে এখন তিনি।
প্রথম টেস্টে বাইরে থাকার পর দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড ফিরেছেন বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে। চার ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার এখন এই পেসার। এই টেস্টে বাইরে থাকা জিমি অ্যান্ডারসন এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন এগারোয়।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের মতো বোলিংয়েও অবনমন হয়েছে হোল্ডারের। দুই থেকে নেমে গেছেন তিনি তিনে।