ম্যানচেস্টারে প্রথম দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৭ রান। টানা দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া সিবলি ৮৬ ও স্টোকস ৫৯ রানে ব্যাট করছেন। এরই মধ্যে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫০.৪ ওভারে তারা গড়েছেন ১২৬ রানের জুটি।
বৃষ্টির জন্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হয় দেরিতে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের চার পেসারকে ভালো মতোই সামাল দেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই আবার সাফল্য। আগের টেস্টে ফিফটি করা জ্যাক ক্রলি পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। অফ স্পিনার চেইসকে ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ স্লিপে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
চেইসের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া জো রুটের সঙ্গে সিবলির পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কঠিন সময় পার করে দিয়ে ফেরেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
বাকি সময়ে আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি সিবলি ও স্টোকস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুজনে দলকে রেখেছেন বড় সংগ্রহের পথে।
আগের টেস্টের নায়ক শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের হাত ধরে এসেছিল এই জুটি ভাঙার সুযোগ। শেষ সময়ে দ্বিতীয় স্লিপে সিবলির সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি হোল্ডার।
প্রথম টেস্টে ‘নো’ বলের কল্যাণে বেঁচে গিয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সিবলি। আউট হয়েছিলেন পরের বলেই। এবার ভুল করেননি। ৬৮ রানে জীবন পেয়ে দিন শেষ করেছেন ৮৬ রানে। তার ২৫৩ বলের ইনিংস গড়া চারটি চারে।
৫৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন চেইস। জোসেফ ১ উইকেট নিয়েছেন ২৮ রানে।
টেস্টের আগে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড। ‘বায়ো সিকিউর’ বিধি ভেঙে এই টেস্টের দল থেকে ছিটকে গেছেন পেসার জফ্রা আর্চার। আগেই জেমস অ্যান্ডারসন ও মার্ক উডকে বিশ্রাম দেওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে নতুন চেহারা পেয়েছে স্বাগতিকদের বোলিং আক্রমণ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮২ ওভারে ২০৭/৩ (বার্নস ১৫, সিবলি ৮৬*, ক্রলি ০, রুট ২৩, স্টোকস ৫৯*; রোচ ২০-৪-৩৭-০, গ্যাব্রিয়েল ১০-১-৩২-০, জোসেফ ১৫-৩-৪১-১, হোল্ডার ২০-৮-৩৩-০, চেইস ১৬-১-৫৩-২, ব্র্যাথওয়েট ১-০-১-০)