বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের ইংল্যান্ডে ক্যাম্প পিছিয়ে আগামী বছর

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলকে নিয়ে কত পরিকল্পনাই না ছিল বিসিবির! ইংল্যান্ডে লম্বা সময় ক্যাম্প করানো হবে, সেখানে বিশেষজ্ঞ কোচদের আনা হবে, ক্রিকেট স্কিল সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তাদেরকে জীবনাচরণের শিক্ষাও দেওয়া হবে, এমন অনেক কিছু। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে ভেস্তে গেছে সব পরিকল্পনা। এখন বিসিবির ভাবনা, এই ক্রিকেটারদের আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্প করানো।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2020, 04:51 PM
Updated : 15 July 2020, 07:39 PM

বিসিবিতে বুধবার ছিল গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা। যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের পাশাপাশি সভায় আলোচনা হয়েছে নতুন অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠন করা নিয়েও। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অনুমতি পেলে ঈদের পর যুবাদের ক্যাম্প শুরু করতে চায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।

সভা শেষে গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ভিডিও বার্তায় জানালেন, যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের ভাবনা।

“আমরা অনেক ভালো কিছু করতে চাই। ইংল্যান্ডে আলাপ করেছিলাম, ওখানে লম্বা সময় ক্যাম্প করতে পারি কিনা। কিন্তু এই বছর তো আমরা মিস করছি। কারণ জুলাই মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গিয়ে ওই কন্ডিশনটা পাওয়া যাবে না। আমরা এখন থেকেই ভেবে রাখছি, আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে যেন ৬০ দিনের ক্যাম্প করতে পারি কোনো একটা কাউন্টিতে।”

“মূল ফোকাস থাকবে ক্যাম্প। কিন্তু আমরা ম্যাচও খেলব। ট্রেনিং সেশনে স্পেশালিষ্ট কোচদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি। ওরকম কন্ডিশনে যদি ছেলেরা ট্রেনিং করতে পারে, তাহলে মান বাড়বে। কাজেই তাদের যদি উপযুক্ত ট্রেনিং আর ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে পারি, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, বাজেট তৈরি করেছি। এই বছর তো আর হবে না, পরের বছর করার জন্য পরিকল্পনা করে রাখছি।”

এবারের যুব বিশ্বকাপে আকবর আলির নেতৃত্বে দলটির শিরোপা জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অনুশীলন ও প্রচুর ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা। পরের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও একইভাবে লম্বা সময় ধরে তৈরির ভাবনা ছিল বিসিবির। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখনও দল গঠনের প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। যে টুর্নামেন্ট থেকে অনেক ক্রিকেটারকে বাছাই করা হয়, সেই যুব ওয়ানডে টুর্নামেন্টও আয়োজন করা যায়নি।

খালেদ মাহমুদ জানালেন, তারা বিকল্প পরিকল্পনা করেছেন এই সভায় আলোচনা করে।

“অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মাত্র ১৬ মাস দূরে আছে। অনেকগুলো মাস পিছিয়ে গেছি আমরা। মাঠে যেতে পারছি না, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারছি না। আজকে কথা হয়েছে, ঈদের পর যদি দেশের পরিস্থিতি ভালো হয় এবং সরকারের অনুমতি যদি পাই, বোর্ড থেকে যদি ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়, তাহলে আমরা নাইনটিনের ক্যাম্পটা শুরু করতে চাই।”

“মধ্য অগাস্ট বা অগাস্টের শেষ দিকে যদি শুরু করতে পারি। সেটা বিকেএসপিতে করার চিন্তা করছি।  বিকেএসপিতে ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেল পুরোটাই আমরা যদি পেয়ে যাই, তাহলে ওখানে কোয়ারেন্টিন করে, পুরো লকডাউন করে শুরু করব। চার সপ্তাহের একটা ট্রেনিং হবে। আমাদের নির্বাচকরা যাবে। যেহেতু যুব ক্রিকেটে ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা হয়নি, সেহেতু সিলেকশনটাও হয়নি। কাজেই ক্যাম্প থেকেই আমরা সিলেকশন করব, এমন ভাবনা।”

এছাড়াও স্কুল ক্রিকেটের সব আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বড় দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা, এখনকার পরিস্থিতিতে জুনিয়র নির্বাচকদের কাজ করার সম্ভাব্য পথ, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়।