২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখা বাটলার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪২ টেস্ট। ৩১.৪৬ গড়ে রান করেছেন দুই হাজার ১৭১। ১৫ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে সেঞ্চুরি কেবল একটি। শেষ ১২ ইনিংসে নেই একটিও হাফ সেঞ্চুরি। শেষ ১১ টেস্টে তার গড় মাত্র ২১।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন বাটলার। দুই ইনিংস মিলে রান করেন মাত্র ৪৪। সবশেষ এই অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর গফ মন্তব্য করেন, ক্যারিয়ার বাঁচাতে চলমান সিরিজের আসছে দুই টেস্টই এই কিপার-ব্যাটসম্যানের শেষ সুযোগ।
তবে ‘কোণঠাসা’ বাটলারের ওপর অমন কোনো চাপ দিতে নারাজ কোচ সিলভারউড।
“আমাদের দিক থেকে কেবল এটা নিশ্চিত করতে হবে, যেন সে দলে আত্মবিশ্বাসী বোধ করে। আমরা তাকে সফল হওয়ার সেরা সুযোগটা দিব। বাকিটা তার ওপর। আশা করি, মাঠে সে ভালো একটি দিন কাটাবে, কিছু রান করবে...সেখান থেকেই সে সামনে এগিয়ে যাবে।”
গত রোববার শেষ হওয়া সাউথ্যাম্পটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাটলার; ৩৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। সিলভারউডের বিশ্বাস, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কী করণীয়, সেটা খুব ভালো করেই জানেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
“এই ম্যাচের আগে অনুশীলন ও বাকি সব কিছুতে জস অসাধারণ ছিল। এমনকি প্রথম ইনিংসেও তাকে খুবই ভালো মনে হচ্ছিল। তার কেবল প্রয়োজন ক্রিজে গিয়ে বড় একটা ইনিংস খেলা, তাই নয় কি? সে নিজেও এটা জানে।”