দেশের মাটিতে টানা ৫১ টেস্ট খেলার পর বাদ পড়েছেন ব্রড। সবশেষ সেই ২০১২ সালে একাদশের বাইরে ছিলেন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই। টসের সময় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বেন স্টোকস অবশ্য বলেছিলেন, দলে না থাকার বিষয়টি একজন চ্যাম্পিয়নের মতো গ্রহণ করেছেন ব্রড।
তবে শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে ব্রড জানালেন, তার মনের ভেতর চলছে ঝড়। আধুনিক ক্রিকেটে প্রতিক্রিয়ায় সাধারণত অনেক কূটনীতির আশ্রয় নিতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের। কিন্তু স্কাই স্পোর্টসকে এবার ব্রড একদমই খোলামেলা জানালেন নিজের মানসিক অবস্থা।
“এমনিতে আমি খুব আবেগী নই, তবে গত দুদিন আমার জন্য ছিল খুব কঠিন। স্রেফ হতাশ বললে আসলে কমই বলা হবে; ফোন ফেলে দিয়ে স্ক্রিন ভেঙে ফেললে হয়তো লোকে হতাশ থাকে। আমি হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং বিধ্বস্ত।”
“এটি বোঝা কঠিন। গত বছর দুয়েক আমি সম্ভবত আমার সেরা বোলিং করেছি। মনে হয়েছে, এই জায়গা আমারই। অ্যাশেজের দলে ছিলাম, দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে সেখানে জিতলাম।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্রড নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। ২৩ উইকেট নিয়ে গত অ্যাশেজেও ছিলেন দলের সেরা বোলার। এবার বাদ পড়ায় জাতীয় নির্বাচক এড স্মিথের কাছে নিজের ভবিষ্যৎ জানতে চেয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার।
“গত রাতে এড স্মিথের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তিনি বলেছেন, ১৩ জনের দল বেছে নেওয়ার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং এই দল বেছে নেওয়া হয়েছে পুরোপুরিভাবেই এখানকার উইকেটের কথা ভেবে। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি স্পষ্ট ধারণা চেয়েছিলাম এবং সামনে তাকিয়ে আমাকে বেশ ইতিবাচক কথাই বলা হয়েছে।”
টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এই টেস্টের ইংল্যান্ড পেস আক্রমণে জায়গা পেয়েছেন গতিময় দুই বোলার জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড। নিজে জায়গা না পাওয়ায় হতাশ হলেও অন্যদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই ব্রডের।
“ মাঠে যারা নেমেছে, তাদের নিয়ে প্রশ্ন নেই। সবাই খেলার জন্য যোগ্য। ক্রিস ওকস, স্যাম কারানও ভালো বোলিং করছিল এবং সম্ভবত একাদশে জায়গা ওদেরও প্রাপ্য। আমি হতাশ নিজেকে একাদশে না দেখে। খুব কম সময়ই এতজন পেসারকে একসঙ্গে ফিট পাওয়া যায়। এটিই দল নির্বাচনকে কঠিন করে তুলেছে।”
“ ফাস্ট বোলিংয়ের এই গভীরতা ও শক্তি দেখতে পারাটা দারুণ। ইংলিশ ক্রিকেট আরও ভালো হয়ে ওঠার ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ এটিই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা যত তীব্র, খেলার মানও তত ভালো হবে। সবাই নিজের জায়গা নিয়ে চাপে।”