প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৭ রান। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ২০ ও শেই হোপ ৩ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুটা ভালোই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক প্রান্তে ব্র্যাথওয়েট ছিলেন সাবধানী। অন্য প্রান্তে দ্রুত রান তুলছিলেন জন ক্যাম্পবেল। দুইবার রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যাওয়া এই ওপেনার তৃতীয়বারে আর রক্ষা পাননি। জেমস অ্যান্ডারসনের দারুণ এক ডেলিভারিতে থামে তার পথচলা।
সাত সকালেই জো ডেনলি ও ররি বার্নসকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। গতিময় এই পেসার দারুণ এক ডেলিভারিতে ডেনলিকে বোল্ড করার পর এলবিডব্লিউ করেন ওপেনার বার্নসকে।
শেষের দিকে বোলিংয়ে ফিরে অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ২০৪ রানে গুটিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল। চোট কাটিয়ে ফেরা এই পেসার ৬২ রানে নেন ৪ উইকেট। মাঝের সময়টায় ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘোরান আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার হোল্ডার।
আলজারি জোসেফের বলে পুল করতে গিয়ে কেমার রোচকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান স্টোকস। পরে রোচের বলে এই অলরাউন্ডারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন শামারা ব্রুকস।
দুইবার জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি স্টোকস। সাত চারে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে কট বিহাইন্ড করে থামান হোল্ডার। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই অলরাউন্ডারের লড়াইয়ে ‘প্রথম রাউন্ডে’ জয়ী এই ক্যারিবিয়ান।
এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি ইংল্যান্ড। দ্রুত এগোনো বাটলারকে কটবিহাইন্ড করার পর জফ্রা আর্চারকে এলবিডব্লিউ করে হোল্ডার নেন পাঁচ উইকেট। ইংল্যান্ডে দশ বছর পর টেস্ট ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন কোনো সফরকারী অধিনায়ক। তার আগে দেশটিতে সবশেষ এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
শেষের দিকে ডম বেসের দৃঢ়তায় দুইশ ছাড়ায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ। আলোক স্বল্পতায় আগেভাগেই খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত জবাব ভালোই দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৩৫/১) ৬৭.৩ ওভারে ২০৪ (বার্নস ৩০, ডেনলি ১৮, ক্রলি ১০, স্টোকস ৪৩, পোপ ১২, বাটলার ৩৫, বেস ৩১*, আর্চার ০, উড ৫, অ্যান্ডারসন ১০; রোচ ১৯-৬-৪১-০, গ্যাব্রিয়েল ১৫.৩-৩-৬২-৪, জোসেফ ১৩-৪-৫৩-০, হোল্ডার ২০-৬-৪২-৬)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৯.৩ ওভারে ৫৭/১ (ব্র্যাথওয়েট ২০*, ক্যাম্পবেল ২৮, হোপ ৩*; অ্যান্ডারসন ৮-৪-১৭-১, আর্চার ৬-০-২০-০, উড ৩.৩-১-৮-০, স্টোকস ২-১-৬-০)