২০১৭ সালের আইপিএলে নিলাম থেকে চার কোটি রুপিতে রশিদকে দলে নেয় হায়দরাবাদ। তাকে একাদশে সুযোগ দেওয়া নিয়ে শুরুতে সন্দিহান ছিলেন দলটির কোচ মুডি। কিন্তু আসর শুরুর আগে দলের অনুশীলন ক্যাম্পের প্রথম দিকেই এই অস্ট্রেলিয়ানকে চমকে দেন রশিদ।
পরে দলে সুযোগ পেয়ে ১৪ ম্যাচ খেলেন রশিদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেন ১৭ উইকেট। আইপিলে নিজের অভিষেক আসরে হন টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকবাজের একটি আলোচনায় বুধবার মুডি জানান, শুরুর দিকে রশিদকে নিয়ে তার ভাবনার কথা।
“আইপিএলে প্রথমবার খেলার আগে একেবারে শুরুর নেট সেশনে তাকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল আমাদের মনে। বাইরে থেকে আসা একটি বাচ্চা ছেলে হুট করেই এগিয়ে আসতে পারবে কী না, নিলামে যে মনোযোগ পেয়েছিল এরপর বড় মঞ্চে অবদান রাখতে পারবে কী না, এসব।”
“ডেভিড ওয়ার্নারসহ কয়েকজন সিনিয়রকে তার বিপক্ষে খেলতে দিলাম এবং ২০ মিনিটের মধ্যে আমি উপলব্ধি করলাম, আমরা রত্ন বাছাই করেছি। নেটে তার প্রতিযোগিতার মাত্রা দেখে আমার মনে হয়েছে, ‘এই ছেলে খেলার জন্য প্রস্তুত।’ কাকে বোলিং করছে এটা নিয়ে সে চিন্তিত ছিল না। সে খুবই ধারাবাহিকভাবে নিজের সেরাটা দিচ্ছিল। কেউই বুঝতে পারছিল না সে কি করছিল, বুঝতে পারছিল না বল কোন দিকে ঘোরাবে। অনুশীলনের প্রথম সেশনেই সে সব চাওয়াই পূর্ণ করেছিল।”
হায়দরাবাদ দলে বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনতেই লেগ স্পিনার হিসেবে রশিদকে দলে নেন মুডি। দারুণ পারফরম্যান্সে এখন দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন এই আফগান।