নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মুসা খান-তিন তরুণের সামনেই এবার ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ। এরই মধ্যে এই পেসাররা দেখিয়েছেন সামর্থ্যের ঝলক। আর ওয়াহাব রিয়াজ, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাসদের অভিজ্ঞতা আছে দেশটিতে এই সংস্করণে খেলার। সব মিলিয়ে দলের বোলিং আক্রমণে ভরসা করার মতো রসদ আছে বলে মনে করেন বাবর। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার সফরে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
“এখানকার কন্ডিশন ইংল্যান্ড দলের জন্য উপযুক্ত, তাই তারা কিছুটা এগিয়ে থাকবে। তবে আমাদের বোলিং লাইন-আপ দেখুন, শাহিন শাহ ও মোহাম্মদ আব্বাস তরুণ ও অভিজ্ঞতার দারুণ একটি কম্বিনেশন তৈরি করে। আব্বাস এই কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত, সে অনেক কাউন্টি ম্যাচ খেলেছে। নাসিম শাহও অসাধারণ পারফর্ম করছে, অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে এবং পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ করেছে। আমার বিশ্বাস, ইংল্যান্ডকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব আমরা।”
করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সবাই। অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর অনুশীলনে ফিরে নিজেদের নিয়ে সংশয়ে ছিলেন খেলোয়াড়দের অনেকেই। এখন অবশ্য মাঠের লড়াইয়ের জন্য সবাই প্রস্তুত বলে মনে করেন বাবর।
ইংল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ প্রায় চার মাস পর ফিরবে পাকিস্তান। তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। আগামী ৩০ জুলাই লর্ডসে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।
কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি নিয়ম করেছে আইসিসি। ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে সেগুলি শুরু করবে পাকিস্তান। বাবর জানান, অনুশীলনেই নিয়মগুলি মেনে চলার চেষ্টা করছেন তারা।
“অবশ্যই অনেক পরিবর্তন এসেছে। দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, নিয়ম মানতে হবে। বেরুনো যাবে না। জিমে একসঙ্গে সবাই যাওয়া যাবে না, ছয় জনের গ্রুপে যেতে হবে। ঘাম ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে বল উজ্জ্বল করা যাবে না। এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত ২-৩ দিন এগুলো নিয়ে চর্চা করেছি, সামনেও মেনে চলতে চেষ্টা করব।”
১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে সবশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১৬ ও ২০১৮ সালের সবশেষ দুই সফরে অবশ্য সিরিজ ড্র করে দেশটি। দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও দারুণ। তাই বাবর আশায় আছেন, দুই যুগের অধরা জয় তুলে নেওয়ার।